নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে দিল্লি থেকে উদ্ধার করল কাটোয়া থানার পুলিশ। ওই নাবালিকাকে পাচারের অভিযোগে দু’দফায় ধরা হয়েছে চার জনকে। পুলিশে সন্দেহ, ওই এলাকায় আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এর পিছনে একটি বড় চক্র জড়িয়ে রয়েছে বলেও পুলিশের অনুমান।
গত রবিবার কাটোয়ার চাঁদপুরের বাসিন্দা ওই ছাত্রীর বাবা মেয়ে নিখোঁজের ডায়েরি করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, ১৭ জুলাই স্কুলের কিছু ফর্ম পূরণ করতে হবে বলে বাড়ি থেকে ৫০ টাকা নিয়ে বেরিয়েছিল পাঁচপাড়া হাইমাদ্রাসার ওই ছাত্রী। আর ফেরেনি। তাঁর আরও দাবি, তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন দুপুর ১২টা নাগাদ পূর্বস্থলীতে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল মেয়েকে। এরপরে পুলিশ ওই নাবালিকার এক সহপাঠীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সেখান থেকেই মেয়েটিকে রাজ্যের বাইরে পাঠানো হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান করে পুলিশ। পরে সোমবার দিল্লির হরিদাসপুর থানা এলাকার খুরিজনগরের একটি বাড়িতে তালাবন্ধ অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার সকালে কাটোয়া স্টেশন চত্বর থেকে মোস্তাফা মোল্লা ও সাবিনা বেগম নামে দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়। এ দিন ধৃতদের আদালতে তোলা হলে মুস্তাফার ১০ দিন পুলিশ হেফাজত ও সাবিনার ১০দিন জেল হাজত হয়।
ওই নাবালিকার দাবি, ওই দিন এক বন্ধুর সঙ্গেই ছিল সে। রাত হয়ে যাওয়ায় বাড়ি ফিরতে পারেনি। পরের দিন সকালে কলকাতা যাওয়ার জন্য রওনা দেয় তারা। পথে ধৃত স্বামী-স্ত্রী সঙ্গে আলাপ হয়। মেয়েটির অভিযোগ, বন্ধুটি ওই দম্পতির কাছে তাকে রেখে পালিয়ে যায়। তাদের হাত ধরেই দিল্লি আসে সে। সেখান থেকে আরও দু’জনকে তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে মারধর, অত্যাচার করে বলেও তাঁর অভিযোগ। পরে কোনও রকমে এই দম্পতির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে সে। সেখান থেকে পুলিশ খবর পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। তবে ঘটনাটির বেশ কিছু সূত্র এখনও আঁধারে। পুলিশেরও দাবি, মেয়েটিকে পাচারের পিছনে একটা বড় চক্র রয়েছে। এলাকার কেউ ঘটনায় জড়িয়ে থাকতে পারে বলেও পুলিশের অনুমান।