গাড়িতে গাদাগাদি। নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক স্কুলবাস ও পুলকার দুর্ঘটনার পরে প্রশাসন নড়েচড়ে বসল দুর্গাপুরে। মঙ্গলবার সকালে দু’টি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের সামনে পুলিশ ও পরিবহণ দফতরের কর্মী-আধিকারিকদের নিয়ে অভিযান চালান মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা। স্কুলবাস ও পুলকার মিলিয়ে মোট ৫৫টি গাড়ি আটকে কাগজ ও গাড়ির ‘ফিটনেস’ খতিয়ে দেখা হয়। আজ, বুধবার পুলকার মালিক, স্কুল কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও পরিবহণ দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসার কথা মহকুমাশাসকের।
পুলকার ও স্কুলবাস নিয়ে শিল্পাঞ্চলে অভিযোগের অন্ত নেই। যাত্রী বহনের ব্যক্তিগত গাড়িও পুলকার হিসেবে চালানো হয়। সম্প্রতি সেই তালিকায় যোগ হয়েছে অটো, এমনকী অনুমোদনহীন টোটোগুলিও। শিল্পাঞ্চলের রাস্তায় সকালে বা দুপুরে বেহাল বাস, গাড়ি থেকে শুরু করে অটো, টোটোয় করে গাদাগাদি করে স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে যাওয়া হয়। আগেও অভিযান হয়েছে। অনুমোদনহীন পুলকারের সংখ্যা অগুণতি। কিন্তু পড়ুয়াদের সমস্যা বা পুলকার চালকদের আয়ের কথা চিন্তা করে অভিযানে দ্রুত ভাটা পড়ে যায়।
এ দিনও সকালে সিটি সেন্টারের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের সামনে অভিযানের সময় দেখা যায়, বৃষ্টিতে ভিজে পড়ুয়ারা স্কুলে ঢুকছে। আবার পুলকার চালকদের দাবি, অভিভাবকদের অনেকেই আর্থিক ভাবে অনগ্রসর। ন্যূনতম ভাড়া নিয়ে তাঁরা পড়ুয়াদের আনা-নেওয়া করেন। সেই টাকায় নিয়ম মেনে পুলকার চালানো সম্ভব নয়। তবে মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, পড়ুয়াদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সে কথা মাথায় রেখে পুলকার মালিকদের বৈঠকে ডাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন যে পুলকারগুলি চলাচল করছে সেগুলির অধিকাংশই ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোনও সময়ে বড় বিপদ হতে পারে। মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘পুলকারের ফিটনেসের উপরে অগ্রাধিকার দিতে হবে। নিয়ম মেনে পুলকার চালাতে হবে। পুলকার মালিকদের সে কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’