বিপণন নেই, খেদ পুতুল-মেলায়

কাঠ কেটে প্যাঁচা, রাধাকৃষ্ণ মূর্তি তৈরি হয় বছরভর। সেই সব সামগ্রীর বিপণনে এক সমবায়ের সাহায্যে মেলার আয়োজন করেছেন শিল্পীরা। পূর্বস্থলীর নতুনগ্রামে কাঠের পুতুলের মেলা শেষ হল রবিবার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:৪৯
Share:

পূর্বস্থলীর নতুনগ্রামে কাঠের পুতুলের মেলা। নিজস্ব চিত্র

কাঠ কেটে প্যাঁচা, রাধাকৃষ্ণ মূর্তি তৈরি হয় বছরভর। সেই সব সামগ্রীর বিপণনে এক সমবায়ের সাহায্যে মেলার আয়োজন করেছেন শিল্পীরা। পূর্বস্থলীর নতুনগ্রামে কাঠের পুতুলের মেলা শেষ হল রবিবার।

Advertisement

এ বার পঞ্চম বর্ষে পা দিল পূর্বস্থলী ২ ব্লকের পিলা পঞ্চায়েতের নতুনগ্রামের কাঠের পুতুলের মেলা। কাটোয়ার অগ্রদ্বীপ লাগোয়া ছোট এই গ্রামে গোটা ষাটেক পরিবারের প্রায় সাড়ে তিনশো সদস্যই বছরভর কাঠের পুতুল-সহ নানা সামগ্রী তৈরি করেন। স্থানীয় একটি সমবায় সংস্থার তরফে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন একটি বেসরকারি সংস্থা। খাদি গ্রামোদ্যোগের মাধ্যমে মেলা আয়োজন করতে প্রয়োজনীয় টাকা দেয় এই সংস্থাটি। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া মেলায় রয়েছে পঞ্চাশটি স্টল। কাঠের পুতুল ছাড়া ঘড়ি, টেবিলল্যাম্প, দুলের মতো জিনিসও বিক্রি হচ্ছে। সঙ্গে চেয়ার, সোফা, টেবিল থেকে দরজার কাঠের কাজও বিকোচ্ছে।

এই গ্রামের প্রয়াত শম্ভুনাথ ভাস্কর এই শিল্পের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৬৬ সালে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছিলেন। তাঁর পরিবারের সদস্য করুণা ভাস্কর জানান, মূলত গামার কাঠ বাটালি দিয়ে কেটে ফ্যাব্রিক দিয়ে রং করে পালিশ করা হয়। প্যাঁচা ও রাধাকৃষ্ণের মূর্তি ছাড়াও দুর্গামূর্তি তৈরি হচ্ছে। তবে গ্রামীণ এই মেলা প্রচারের অভাবে ধুঁকছে বলে দাবি ওই সমবায়ের সম্পাদক দিলীপ সূত্রধরের। তিনি বলেন, ‘‘সরকারি সাহায্য পেলে আরও বড় আকারে মেলার আয়োজন করা যাবে। এ ছাড়া বিপণনের জন্য সরকারি সহায়তা পেলে আগামী প্রজন্মও এই শিল্পে আগ্রহী হবে।’’

Advertisement

শিল্পীদের কাঠ চেরাইয়ের জন্য কাঠকল এবং পর্যটকদের থাকার জন্য একটি রিসর্টও রয়েছে নতুনগ্রামে। মেলার ব্যবস্থাপনায় থাকা সংস্থাটির তরফে ঝন্টু ঘোষ বলেন, ‘‘ক্লাস্টার তৈরি করে সদস্যদের তৈরি পণ্য বিপণনের ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রামীণ শিল্পগুলিকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement