বিধানচন্দ্র রায়ের ছবিতে মাল্যদান। শনিবার দুর্গাপুরের চণ্ডীদাস রোডে। ছবি: বিকাশ মশান
নানা অনুষ্ঠান ও কর্মসূচির মাধ্যমে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিন পালিত হল দুর্গাপুর জুড়ে।
শনিবার দুর্গাপুরের বিসি রায় ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ইস্পাতগনগরীর এ-জোনের অশোক ও অরবিন্দ অ্যাভিনিউয়ের সংযোগস্থলে বিধানচন্দ্র রায়ের মূর্তিতে মাল্যদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। ছিলেন দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা। আয়োজকদের তরফে সুদেব রায় জানান, অনুষ্ঠানে প্রায় দু’শো মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে কৃতী এবং শিল্পাঞ্চলের গুণীজন সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
শহরের ইস্পাতনগরীর চণ্ডীদাস ইউনাইটের ক্লাবের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যপরীক্ষা শিবির ও সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়। ‘বেঙ্গল ডায়াবেটিক ফাউন্ডেশন’, একটি বেসরকারি হাসপাতাল এবং একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে এই শিবির আয়োজিত হয়। রক্ত পরীক্ষা, ইসিজি-সহ নানা রকম পরীক্ষা করা হয়। ক্লাবের পক্ষে সুজিত দাঁ জানান, দু’দিনের এই শিবির রবিবার শেষ হবে। প্রথম দিনেই শতাধিক প্রবীণ নাগরিক শারীরিক পরীক্ষা করিয়েছেন।
ইস্পাতনগরীর বি-জোনের চৌরঙ্গি ইয়ুথ কালচারের পক্ষ থেকে বৃক্ষরোপন ও জঞ্জাল পরিষ্কার করা হয়। ‘কালজয়ী’ পত্রিকার তরফে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় সিটি সেন্টারে নিজেদের দফতরে। ইস্পাতনগরীর ডি সেক্টর মার্কেটের কাছে আইএনটিটিইউসি কার্যালয়ে মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার করেন দুর্গাপুর পুরসভার বিদায়ী মেয়র অপূর্ব মুখোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী বিদায়ী কাউন্সিলর অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়। দুর্গাপুর ব্লাইন্ড রিলিফ সোসাইটির কাছে তাঁদের সঙ্গে আরও ২০ জন চক্ষুদানের অঙ্গীকার করেন।
সিটি সেন্টার লাগোয়া পলাশডিহা এলাকায় বিধানচন্দ্র রায়ের একটি মূর্তি অবহেলায় পড়েছিল এ দিন সকালেও। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কোনও তরফেই সেই মূর্তি পরিষ্কার বা মাল্যদানের উদ্যোগ হয়নি। শেষে খবর পেয়ে সিটি সেন্টারের ব্যবসায়ীরা দুপুরে মূর্তিতে মাল্যদানের ব্যবস্থা করেন।
এ দিন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে অন্ডাল ও পাণ্ডবেশ্বর ব্লকের কৃতী ছ’জন পডুয়াকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় উখড়া কমিউনিটি হলে। এ ছাড়াও প্রায় দেড়শো জনের রক্তের শ্রেণি নির্ণয় করা হয়। এ দিন আসানসোল সাহিত্যপ্রেমী লেখক কবি সমাবেশ আসানসোল পুরনো আশ্রম মোড়ে একটি বেসরকারি কলেজের অধিবেশন কক্ষে বিধানচন্দ্র রায়ের জীবন নিয়ে একটি আলোচনাচক্রের আয়োজন করে। পিঠাইকোয়ারি হাসপাতালে রোগীদের ফল, মিষ্টি দেওয়া হয় সালানপুর ব্লক মহিলা তৃণমূলের তরফে।