বিধায়কের বদলে মেলা উদ্বোধনে সাংসদ, বিতর্ক

উদ্বোধন করার কথা ছিল পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক তথা আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির। হঠাৎ তা স্থগিত করা হয়। সোমবার মেলার উদ্বোধন করেন বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:০৫
Share:

দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের পার্কে শুরু হল খাদিমেলা। নিজস্ব চিত্র

কেন্দ্রীয় ‘খাদি অ্যান্ড ভিলেজ ইন্ডাস্ট্রিজ় কমিশন’-এর মেলা নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ উঠল দুর্গাপুরে। মেলা হওয়ার কথা ছিল শনিবার। উদ্বোধন করার কথা ছিল পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক তথা আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির। হঠাৎ তা স্থগিত করা হয়। সোমবার মেলার উদ্বোধন করেন বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া।

Advertisement

দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের একটি পার্কে ‘রানিগঞ্জ চেম্বার অফ কমার্স’-এর সহযোগিতায় মেলার আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার মেলা শুরু হবে বলে কার্ড পাঠানো হয়েছিল আমন্ত্রিতদের কাছে। কার্ডে উদ্বোধকের তালিকায় প্রথমে নাম ছিল পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারির। হঠাৎই শেষ মুহূর্তে আয়োজকদের তরফে মেলা স্থগিত রাখার কথা জানানো হয়। সোমবার মেলা উদ্বোধনের নতুন কোনও কার্ড আর আমন্ত্রিতদের পাঠানো হয়নি।

এ দিন বিকেলে মেলার উদ্বোধন করেন বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্রবাবু। মেলায় গিয়ে দেখা যায়, বেশ কিছু স্টল ফাঁকা। দ্রুত সেগুলি ভরে যাবে বলে আশ্বাস উদ্যোক্তাদের। তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ, এ ভাবে কার্ডে নাম ছাপিয়েও অনুষ্ঠান বাতিল করে বিধায়ক তথা দলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্রবাবুকে অসম্মান করা হয়েছে। আগের দিন কার্ডে বিজেপি সাংসদের নাম না থাকলেও এ দিন কাউকে কিছু না জানিয়ে তাঁকে দিয়ে যে ভাবে মেলার উদ্বোধন করা হল, এর পিছনে রাজনীতি রয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের।

Advertisement

উদ্যোক্তাদের তরফে রানিগঞ্জ চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি সন্দীপ ভালোটিয়া অবশ্য বলেন, ‘‘আমরা এখানে সহযোগীর ভূমিকায় আছি। নীতি নির্ধারণের জায়গায় নেই। কেন্দ্রীয় খাদি অ্যান্ড ভিলেজ ইন্ডাস্ট্রিজ কমিশনের রাজ্য শাখার তরফে যেমন নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, আমরা সে ভাবে এগোচ্ছি। তাই আমরা এ নিয়ে কিছু বলতে পারব না।’’ ‘কেন্দ্রীয় খাদি অ্যান্ড ভিলেজ ইন্ডাস্ট্রিজ় কমিশন’-এর কোনও আধিকারিকের দেখা মেলেনি মেলায়।

বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই দাবি করেন, ‘‘সাংসদ অসুস্থ থাকায় শনিবার অনুষ্ঠান করা যায়নি। তিনি দু’দিন পরে করতে বলেছিলেন। তাই এ দিন মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে।’’ আগের দিনের উদ্বোধকের তালিকায় সাংসদ কেন ছিলেন না? লক্ষ্মণবাবুর দাবি, ‘‘সাংসদের সঙ্গে আয়োজকদের যোগাযোগে দূরত্ব হয়ে গিয়েছিল।’’ তাঁকে বাদ দিয়ে বিজেপি সাংসদকে দিয়ে উদ্বোধন করা প্রসঙ্গে জিতেন্দ্রবাবু বলেন, ‘‘অনুষ্ঠানের নতুন দিন জানিয়ে রবিবার আমন্ত্রণপত্র আমায় পাঠানো হয় আমাকে। তা দেখে আমার মনে হয়েছে, উদ্যোক্তারা যেন চাইছেন, আমি যাতে না যাই। তবু আমার তরফ থেকে শুভেচ্ছা রইল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement