বর্ধমানের বাম প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিলেন। নিজস্ব চিত্র।
মিছিল করে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে গিয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের কালনা শহরের ১৮টি ওয়ার্ডের বামফ্রন্ট প্রার্থীরা। কিন্তু সোমবার তার মধ্যে ১৩টি ওয়ার্ডের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে পেরেছেন। দলীয় নেতৃত্বের দাবি, কিছু নথিতে ছোটখাট গোলমাল ছিল। আজ, মঙ্গলবার ফের তাঁরা মনোনয়ন দিতে যাবেন।
মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সিপিএমের দু’নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী শিলা রাজবংশী মনোনয়নের নথিতে ভিন্ রাজ্যের তফসিলি জাতিগত শংসাপত্র দাখিল করেছেন। সিপিএমের কালনা শহর এরিয়া কমিটির সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘উনি বিহারের শংসাপত্র মনোনয়নের নথিতে জমা দিয়েছিলেন। দেশের যে কোনও প্রান্তের শংসাপত্র নিয়েই প্রশ্ন তোলা উচিত নয়। ফলে, নিয়মবহির্ভূত কিছু উনি করেননি। প্রশাসন যদি শংসাপত্রটি বাতিল করে তা হলে ওই ওয়ার্ডে আমরা অন্য প্রার্থীর কথা ভাবব।’’ বাকিদের ক্ষেত্রে অ্যাফিডাভিট, বানানের ত্রুটি থাকায় মনোনয়ন দেওয়া যায়নি, দাবি তাঁর। কালনার মহকুমাশাসক সুরেশকুমার জগৎ বলেন, ‘‘আমরা ওই শংসাপত্রটি পরীক্ষা করে দেখছি।’’
মহকুমাশাসকের (বর্ধমান উত্তর) দফতরে বর্ধমান পুরসভা ও গুসকরার বাম প্রার্থীরা এ দিন মনোনয়ন জমা দেন। বর্ধমানের ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৪টি ও গুসকরার ১৬টি ওয়ার্ডেই প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। মেমারি পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ডের প্রার্থীরা মহকুমাশাসকের (বর্ধমান দক্ষিণ) দফতরে মনোনয়ন দেন। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বর্ধমান শহরে মনোনয়ন দিতে বাকি থাকা প্রার্থী মঙ্গলবার তা জমা দেবেন।’’ তৃণমূল প্রার্থীরাও মঙ্গলবার মনোনয়ন দিতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।
তৃণমূল সূত্রের খবর, এ দিন বর্ধমান ও মেমারির তৃণমূল প্রার্থীরা বর্ধমান আদালতে হলফনামা-সহ মনোনয়নের নানা নথি পূরণ করেছেন। জেলায় পুরভোটের কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব পাওয়া পঞ্চায়েতমন্ত্রী পুলক রায়ের সঙ্গে জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কাটোয়া ও দাঁইহাটের সমস্ত আসনে বাম প্রার্থী এবং ছ’টি আসনে তৃণমূল প্রার্থীরাও মনোনয়ন জমা দিয়েছেন এ দিন। সিপিএম নেতা অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, সুদীপ্ত বাগচিরা দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে যান। স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রার্থীর সঙ্গে দু’জন করে ভিতরে যান। কাটোয়ার ৩, ৪, ৬, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীরা মনোনয়ন দিয়েছেন।