চালককে মাদক খাইয়ে টোটো লুঠ করার অভিযোগ উঠল মঙ্গলকোটের বনকাপাশিতে। রবিবার রাতে ওই টোটো চালককে মারধরের পরে মোবাইল ও বেশ কয়েক হাজার টাকা ছিনতাই করে দুষ্কৃতীরা। ওই চালক আপাতত কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। তবে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোজকার মতোই রবিবার দুপুরে কৈচর থেকে টোটো নিয়ে বের হন শীতলগ্রামের বাসিন্দা সাধন সাঁতরা। বছর বত্রিশের সাধনবাবুর অভিযোগ, বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে মাঝবয়েসী দুই যুবক টোটোয় চেপে কাটোয়া পৌঁছে দিতে বলে। খানিকদূর যাওয়ার পরেই ওই সওয়ারিরা সাধনবাবুকে দুটো বিস্কুট ও জল খেতে দেয়। সাধনবাবুর দাবি, সেটা খাওয়ার পরেই ঝিমোতে শুরু করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘ঘোর কাটতে দেখি গাঙ্গুলিডাঙার মাঠে পড়ে রয়েছি। টোটোর চাবি চাইলে ওরা ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে।’’ তারপরে সঙ্গে থাকা মোবাইল ও হাজার পাঁচেক টাকা কেড়ে নিয়ে মাঠেই তাঁকে ফেলে টোটো নিয়ে ওই দু’জন পালায় বলেও তাঁর দাবি। এরপরে ফের বেঁহুশ হয়ে যান তিনি। মাঝরাতে জ্ঞান ফিরলে রাস্তা ঠাহর করতে না পেরে ভবঘুরের মতো ঘুরতে থাকেন তিনি। সকাল হলে শ্রীখণ্ডের এক পরিচিত টোটোচালকের সাহায্যে শীতলগ্রামে বাড়িতে ফেরেন তিনি। এরপর মাথায় ও চোখে গুরুতর আহত অবস্থায় সাধনবাবুকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালে দাঁড়িয়ে তাঁর দাদা সুদেব সাঁতরা বলেন, ‘‘বছরখানেক ধরে টোটো চালাচ্ছে। এরকম আগে কখনও হয়নি।’’
কৈচর টোটো ইউনিয়নের সম্পাদক সত্যজিৎ মাঝির অভিযোগ, ‘‘বর্ধমান-কাটোয়া রাজ্য সড়কের উপরে দিনেদুপুরে এরকম ছিনতাই হলে টোটোচালকদের নিরাপত্তা কোথায়। সওয়ারি ভেবে চাপালেও দেখছি প্রানভয়ে থাকতে হবে।’’