Burdwan Medical College and Hospital

বন্ধ রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠক

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় বাদে রোগীদের ডায়েট, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং অন্য পরিষেবা প্রদানের বিষয় নিয়ে সমিতির বৈঠকে আলোচনা হয়।

Advertisement

সৌমেন দত্ত

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২৪ ০৮:৫৩
Share:

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ। —ফাইল চিত্র।

হাসপাতালের অন্দরের সমস্যা মেটানো থেকে শুরু করে নানা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয় রোগীকল্যাণ সমিতিকে। কিন্তু বেশ কয়েক মাস ধরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠক হয়নি বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। ফলে নানাবিধ সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধায় হচ্ছে, দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। কয়েক মাস আগে জেলাশাসক হয়ে এসেছেন কে রাধিকা আইয়ার। মেডিক্যালের অধ্যক্ষ হয়েছেন মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠক না হওয়ায় হাসপাতালের উন্নয়নে তাঁরা মতামত জানাতে পারেননি। রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, “ভোট-সহ নানা কারণে রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠক হয়নি। তবে উন্নয়ন বা হাসপাতাল পরিচালনার কাজ আটকে নেই। খুব দ্রুত বৈঠক হবে।” হাসপাতাল সূত্রের খবর, জুলাইয়ে বৈঠক হতে পারে।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় বাদে রোগীদের ডায়েট, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং অন্য পরিষেবা প্রদানের বিষয় নিয়ে সমিতির বৈঠকে আলোচনা হয়। হাসপাতালের নিজস্ব তহবিল বাড়ানো ও তার ব্যবহার নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে। এ ছাড়া, অনাময় হাসপাতালের বিভাগগুলি কেমন চলছে, সে আলোচনাও হয় সেখানে। অনেকেই বলছেন, অগস্ট মাসের পরে রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠক হয়নি। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, বৈঠক হয়নি গত ছ’সাত মাস। যার ফলে হাসপাতালে পরিকাঠামোগত এবং প্রশাসনিক বিভিন্ন সিদ্ধান্তে ‘সিলমোহর’ দিতে কর্তৃপক্ষের অসুবিধা হচ্ছে। হাসপাতালের প্রয়োজনে নানা জিনিসপত্র কেনা, রোগী ভর্তি—সব কিছুই মূলত এই সমিতির মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রিত হয়।

হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষের দাবি, “রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠক না হলেও হাসপাতাল সুষ্ঠু ভাবেই চলছে। এখন প্রতিটি বিষয় নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে হয়। সে কারণে প্রতি মুহূর্তে রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠকের প্রয়োজন হয় না। হাসপাতালে এখন যে কর্মকাণ্ড চলছে, তা আগেই রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠকে আলোচনা হয়েছিল।” তবে সমিতির একাধিক সদস্যের দাবি, গত অক্টোবর মাসে তৎকালীন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বর্ধমান মেডিক্যাল পরিদর্শনে এসে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে প্রশ্ন এখনও রয়েছে। হাসপাতালের চারদিকে আবর্জনা রয়েছে এখনও। মাঝেমধ্যেই ঠিকাদার সংস্থা কাজ করে না বলে অভিযোগ। ওই সব বিষয়ে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।

Advertisement

সদস্যদের একাংশের দাবি, সমিতির চেয়ারম্যান হাসপাতালের পুকুরটির সৌন্দর্যায়নের কথা বলেছিলেন। বিডিএ-র সঙ্গে এ নিয়ে কথাও হয়েছিল। তার পরে কী হল, তা জানা নেই। আবার হাসপাতালের আটতলা ভবন, অনাময়ে ট্রমা সেন্টারের অগ্রগতি, সিটি স্ক্যান যন্ত্রের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। এমনকি, পূর্ত দফতরের কাজ নিয়েও হাসপাতালের কর্তাদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। ওই দফতরের কাজ ঢিমে তালে এগোচ্ছে বলে মত অনেকের। এর কারণও জানা দরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement