রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থার বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও বাইরে থেকে আসা ট্যাঙ্কার ঢোকায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ‘রাজবাঁধ ট্যাঙ্কার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর বিরুদ্ধে। ট্যাঙ্কার সরবরাহ নিয়ে সেই দ্বন্দ্ব মেটাতে শুক্রবার দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজবাঁধের ওই তেল সংস্থার টার্মিনাল থেকে সংলগ্ন বেশ কয়েকটি জেলায় জ্বালানি তেল ও পেট্রোলিয়ামজাত সামগ্রী সরবরাহ করা হয়। তেল সংস্থা দরপত্রের মাধ্যমে ট্যাঙ্কার চায়। দীর্ঘদিন ধরেই ‘রাজবাঁধ ট্যাঙ্কার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’ ওই বরাত পেয়ে আসছে। এ বছর ই-টেন্ডারের মাধ্যমে স্থানীয় গোপালপুরের একটি সংগঠনটিও ট্যাঙ্কার সরবরাহের জন্য নির্বাচিত হয়। পদ্ধতিগত প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরে গত সপ্তাহে শুক্রবার, ২০ মার্চ তারিখে গোপালপুরের ওই সংস্থার সংস্থার পক্ষ থেকে ২১ টি ট্যাঙ্কার নিয়ে যাওয়া হয় টার্মিনালে। ওই সময় রাজবাঁধ ট্যাঙ্কার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর লোকজন নতুন বরাত পাওয়া সংস্থার ট্যাঙ্কারগুলি আটকে দেয় বলে অভিযোগ। নতুন সংস্থার মালিক ও লোকজন প্রতিবাদ জানালে টার্মিনালের সামনেই দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুনীল শ্যাম ওইদিন জানান, টার্মিনালে তাঁদের ২৪০টি ট্যাঙ্কার খাটছে। এ ছাড়াও তাঁদের আরও ৩৬টি ট্যাঙ্কার রয়েছে। সুনীলবাবু ওই সময় দাবি করেন, ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে সব ট্যাঙ্কারকেই কাজে লাগানো হয়। এই পরিস্থিতিতে আরও ২১টি বাড়তি ট্যাঙ্কার এলে সমস্যা বাড়বে। বহু ট্যাঙ্কারই এর জেরে কাজ হারাবে বলে সুনীলবাবু দাবি করেন।
সমস্যা সমাধানে শুক্রবার দু’টি ট্যাঙ্কার সরবরাহকারী সংস্থা ও টার্মিনালের লোকজনদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মহকুমাশাসক কস্তুরী সেনগুপ্ত। বৈঠক শেষে মহকুমাশাসক বলেন, “এ দিন এক দফা কথাবার্তা হয়েছে। দরকার হলে আবারও আমরা বৈঠক করব। দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।” রাজবাঁধের অ্যাসোসিয়েশনটির সভাপতি তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা চিন্ময় মণ্ডল বলেন, “প্রশাসনের ডাকে বৈঠক হয়েছে। সমস্যা মেটানো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।” গোপালপুরের সংগঠনটির তরফে তপন সেন বলেন, “আলোচনায় সমস্যা সমাধানের আশা দেখছি আমরা।”