আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের দফতরে আগুন। — নিজস্ব চিত্র।
আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের দফতরে বিধ্বংসী আগুন। মাঝরাত থেকে পুড়েছে গোটা দফতর। যাবতীয় সরকারি নথিপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দমকলের ১০ থেকে ১২টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে কাজ করেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য রাতভর চেষ্টা করেছে তারা। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও স্পষ্ট নয়।
দুর্গাপুর সিটি সেন্টারের কাছে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের দফতরে সোমবার মাঝরাতে আগুন লাগে। রাত ২টোর পরে আগুন লেগেছে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যায় দমকল। ক্রমে তাদের ইঞ্জিনের সংখ্যা বাড়তে থাকে। দাউদাউ করে জ্বলতে দেখা যায় দফতরের ঘরগুলিকে। বাইরে থেকে জানলা দিয়ে জল ছুড়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন দমকলকর্মীরা। হোস পাইপ দিয়ে জল দেওয়া হয়। প্রায় সাত ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে পৌঁছন। গিয়েছেন দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়ও। রাতে দফতরে কোনও কর্মী ছিলেন না। তবে অগ্নিকাণ্ডে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কাগজপত্র নষ্ট হয়েছে।
চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘বিকেল ৫টা নাগাদ আমি অফিসে এসেছিলাম। কী ভাবে আগুন লাগল, এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। তদন্তসাপেক্ষ ব্যাপার। দমকল উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করবে। নিরাপত্তারক্ষীরা আমাকে জানিয়েছেন, উপরে কোথাও ধোঁয়া দেখা গিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে ওঁরা আধিকারিক, প্রশাসনিক কর্তাদের জানান। পরে দমকল আসে। এত দলিল, এত কাগজপত্র এই অফিসে রয়েছে, খুব খারাপ লাগছে।’’
এ বিষয়ে জেলাশাসকের বক্তব্য, ‘‘রাত ৩টের আগে এখানে আগুন লেগেছে বলে জানতে পারি। সব আধিকারিকদের খবর দেওয়া হয়। দমকল ডাকা হয়। আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে।’’
আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের সিইও আকাঙ্ক্ষা ভাস্কর বলেন, ‘‘কী ভাবে আগুন লাগল, জানার জন্য ফরেন্সিক তদন্ত হবে। তদন্ত করে দেখা হবে, অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা ঠিক মতো কাজ করছে কি না।’’
কী থেকে আগুন লাগল, স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিক ভাবে দমকলের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে তদন্তের পরই সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে দমকল।