প্রতীকী ছবি।
নদীতে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক তরুণের দেহ মিলল মেমারিতে। রাজা মালিক (২০) নামে ওই তরুণের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। মৃতের এক বন্ধুকে আটক করেছে পুলিশ। তবে সোমবার রাত পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি বলে মেমারি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে।
মেমারির বাতরা গ্রামের বাসিন্দা রাজা ও তাঁর ওই বন্ধু অসমে একটি চালকলে কাজ করেন। ওই বন্ধুর বাড়ি বীরভূমে। তিন-চার দিন আগে ছুটি কাটানোর জন্য তাঁরা বাতরা গ্রামে আসেন। মৃতের পরিজনদের দাবি, ওই বন্ধু শনিবার জানান, রাজার বড় রকমের ‘ফাঁড়া’ (বিপদ) রয়েছে। যে কোনও সময়ে ওই ‘ফাঁড়া’ নেমে আসতে পারে। তবে তাঁর ফাঁড়া-কাটানোর উপায় জানা রয়েছে। সে জন্য সুতলি দড়ি, ধূপ ও ধুনো দরকার।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাজার বাবা, পেশায় গাড়ি চালক জগবন্ধুবাবু রবিবার দড়ি, ধূপ ও ধুনো কিনে আনেন। তার পরে তিনি কাজে অন্যত্র চলে যান। রাজার এক পরিজনের অভিযোগ, “শনিবার রাতে রাজার ওই বন্ধু জানান, সব ফাঁড়া কেটে গিয়েছে। তাই আর কোনও চিন্তা নেই।’’ তাঁর দাবি, দুই বন্ধু রবিবার দুপুর পর্যন্ত এক সঙ্গেই ছিলেন। কিন্তু বিকেলের পর থেকে রাজার খোঁজ মিলছিল না। রাজাকে খোঁজাখুঁজিতে বাড়ির লোকজনের সঙ্গে ওই বন্ধুটিও ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রায় চার ঘণ্টা ধরে খোঁজ না পেয়ে রাজার বন্ধুকে চেপে ধরা হয়। তিনি জানান, রাজা বেহুলা নদীতে পড়ে গিয়েছেন। সেখানেও রাজার দেখা না মেলায় ওই বন্ধুকে নদীর ধারে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পরেই হাত-পা বাঁধা অবস্থায় জল থেকে রাজার দেহ উদ্ধার হয়। পাহাড়হাটির ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে জানানো হয়। সম্পর্কে রাজার দাদা অশোক মালের অভিযোগ, “রবিবার বিকেলে রাজা বাড়ি থেকে বেরোলে ওই বন্ধুটিও বেরোয়। যাওয়ার সময়ে হাতে একগোছা দড়িও নিয়ে গিয়েছিল।”
পুলিশ জানায়, গ্রামবাসী ও মৃতের পরিজনেরা মৌখিক ভাবে ঘটনাটি জানিয়েছেন। তদন্ত শুরু হয়েছে।