প্রতীকী ছবি।
এক যুবতীকে পুড়িয়ে খুন করার অভিযোগে তাঁর স্বামী, ননদ, শ্বশুর ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করল কাটোয়া থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে কাটোয়ার গৌরডাঙার ঘটনা। নিহত যুবতীর নাম যমুনা দাস (২০)।
পাজোয়া গ্রামের বাসিন্দা নিহতের মা শিখা দাস জানান, কয়েক বছর আগে গৌরডাঙার নিতাই দাসের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে হয়। ওই দম্পতির এক বছরের একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের ছ’মাস পরেই নিতাই স্ত্রীর উপরে অত্যাচার শুরু করে। পরিবারের দাবি, যমুনা কিছু দিন আগে বাপের বাড়িতেও চলে আসে। কিছু দিন আগে তিনি ফের গৌরডাঙায় শ্বশুরবাড়িতে ফেরেন। নিহতের বাবা লাল্টু দাসের অভিযোগ, নিতাই, তাঁর বাবা মুরালি দাস, মা বসো দাস ও দিদি শিখা দাস মেয়ের উপরে অত্যাচার চালাত।
লাল্টুবাবু জানান, বুধবার বিকেলেও মেয়ে বাপের বাড়িতে ফোন করে মারধরের অভিযোগ করে। তার পরে বৃহস্পতিবার সকালে গৌরডাঙা গ্রামের এক বাসিন্দা পাজোয়ায় ফোন করে জানান, যমুনাকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবি, হাসপাতালে এসে দেখা যায়, যুমনা মৃত।
পুলিশ জানায়, দেহের ময়না-তদন্ত হয়েছে। নিতাই, মুরালি, বসো এবং নিতাইয়ের দিদি শিখাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।