চিকিৎসাধীন যুবক। নিজস্ব চিত্র
‘জয় শ্রী রাম’ বলতে না চাওয়ায় এক ফেরিওয়ালাকে মারধর করে তাঁর টাকা ও জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল বার্নপুরে। মহম্মদ ইসরার নামে ওই ফেরিওয়ালা হরিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তাঁকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আসানসোল উত্তর থানা এলাকার মুতসুদ্দিমহল্লার বাসিন্দা ইসরার ওরফে রিজুয়ান জানান, তিনি কাপড়ের জিনিসপত্র ফেরি করেন। এ দিন দুপুরে বার্নপুরের কালাঝরিয়া থেকে রিভারসাইড রোড ধরে আসানসোলের দিকে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিল ফেরির জিনিস বোঝাই পুঁটুলি। পুলিশের কাছে ইসরার অভিযোগ করেন, হঠাৎই উল্টো দিক থেকে মোটরবাইকে আসা চার জন তাঁর পথ আটকে দাঁড়ায়। তাঁকে ‘জয় শ্রী রাম’ বলার জন্য চাপ দেয়। তাঁর অভিযোগ, ‘‘আমি তা বলতে না চাওয়ায় ওরা আমাকে মারধর শুরু করে। আমার পকেটে থাকা কয়েক হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।’’
ইসরারের দাবি, সেই সময়ে হঠাৎ ওই রাস্তা ধরে আসানসোলগামী একটি মিনিবাস আসতে দেখে ফেরির জিনিসপত্র ফেলে রেখেই দৌড়ে গিয়ে সেটিতে উঠে পড়েন তিনি। অভিযোগ পাওয়ার পরেই হিরাপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ জানায়, গোটা এলাকায় তল্লাশি চালিয়েও অভিযুক্তদের খোঁজ মেলেনি। ফেরির জিনিসপত্রও পাওয়া যায়নি। আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই ঘটনার পরে তাঁরা আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানান ওই ফেরিওয়ালার বাড়ির লোকজন। হাসপাতালে দাঁড়িয়ে তাঁর দাদা মহম্মদ শাহবাজ হুসেইন জানান, ভাই বেশ কয়েক বছর ধরে জিনিস ফেরির কাজ করছেন। কিন্তু আগে কখনও এমন সমস্যায় পড়েননি। আসানসোলের মেয়র তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারির বক্তব্য, ‘‘রামের নাম ব্যবহার করে দুষ্কৃতীরা যাতে কোনও রকম অসামাজিক কাজ করতে না পারে, সে জন্য শহরবাসীকে এখন খুব সজাগ থাকতে হবে।’’ তিনি জানান, পুলিশ-প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপের আবেদন করেছেন। বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের প্রতিক্রিয়া, ‘‘এটা নিশ্চিত ভাবেই দুষ্কৃতীদের কাজ। বিজেপিকে বদনাম করার জন্য চক্রান্ত করে এ সব করা হচ্ছে।’’ অবিলম্বে ঘটনায় জড়িতদের ধরার দাবি জানিয়েছেন তিনি।