কম ডাক্তার নিয়েই চালু হাসপাতাল

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালটি তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। ব্যাকওয়ার্ড রিজিয়ন গ্র্যান্ট ফান্ড থেকে এই টাকা মিলেছে। আলাদা করে তৈরি হয়েছে বার্ন ইউনিট ও ২০ শয্যা বিশিষ্ট একটি মনোরোগ বিভাগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৭ ০১:৫৯
Share:

আসানসোলে চালু মাল্টি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল। নিজস্ব চিত্র।

আসানসোল মাল্টি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের উদ্বোধন হল বৃহস্পতিবার। বর্ধমানের প্রশাসনিক সভা থেকে এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই হাসপাতালের সূচনা করেন। আসানসোলে হাসপাতালের প্রবেশদ্বারের ফিতে কাটেন রাজ্যের আইন ও শ্রমমন্ত্রী তথা আসানসোল উত্তরের বিধায়ক মলয় ঘটক। তিনি বলেন, ‘‘এত দিন শহরের বাসিন্দারা উন্নতমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা পেতেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে মহকুমা হাসপাতালটিকে জেলা হাসপাতালের পর্যায়ে উন্নীত করে চিকিৎসা পরিষেবার মানোন্নয়ন করেন। এ বার মাল্টি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল চালু হওয়ায় চিকিৎসা পরিষেবা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। জানা গিয়েছে, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে বহির্বিভাগে রোগী দেখার কাজ শুরু হবে। অন্তর্বিভাগ চালু হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। আসানসোলে আয়োজিত এ দিনের অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন প্রশাসনিক আধিকারিকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন শহরের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি।

Advertisement

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালটি তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। ব্যাকওয়ার্ড রিজিয়ন গ্র্যান্ট ফান্ড থেকে এই টাকা মিলেছে। আলাদা করে তৈরি হয়েছে বার্ন ইউনিট ও ২০ শয্যা বিশিষ্ট একটি মনোরোগ বিভাগ।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ভবনে পুরো মাত্রায় চিকিৎসা পরিষেবা চালু হলে পুরনো ভবনটিতে মাতৃ ও শিশু হাব তৈরি হবে। জানা গিয়েছে, নব নির্মিত ট্রমা সেন্টারে চালু করা হচ্ছে জরুরি বিভাগ। মাল্টি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল চালুর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় খুশি চিকিৎসক থেকে রোগীরা। তবে চিকিৎসকদের একাংশের মতে, পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ না করা হলে উন্নত পরিষেবা দেওয়ার চিন্তা ভাবনাটা মাঠে মারা যাবে।

Advertisement

জেলা হাসপাতালেই চিকিৎসক থেকে কর্মীর ঘাটতি রয়ে গিয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে বর্তমানে চিকিৎসক রয়েছেন প্রায় ৫৬ জন। দরকার আরও অন্তত ৫০ জনের। জরুরি বিভাগের জন্যই দরকার প্রায় ১৪ জন চিকিৎসক। প্রয়োজন কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরও। নার্সের সংখ্যা এখন প্রায় ১০৮ জন। নতূন ভবনে হাসপাতাল চালু হলে সংখ্যাটা আরও বাড়াতে হবে। সাফাই কর্মীর অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। খুব কম হলেও ১৮২ জন সাফাই কর্মী দরকার। কিন্তু বর্তমানে রয়েছেন প্রায় ৩২ জন। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই ঘাটতির মধ্যে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের মানের পরিষেবা দিতে গেলে কর্মী নিয়োগের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। যদিও এ দিন প্রশাসনের কর্তারা সে বিষয়ে কোনও দিশা দেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement