Asansol

Mamata Banerjee: আসানসোলের প্রতি ‘কৃতজ্ঞ’ মমতা

বিজেপির তরফে বার বার দাবি করা হয়েছিল, ব্যক্তি নয়, গত দু’টি লোকসভা ভোটে জিতেছিল দলই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর, আসানসোল শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২২ ০৮:৩৩
Share:

পশ্চিম বর্ধমানে পা রেখেই সদ্য হয়ে যাওয়া আসানসোল উপনির্বাচনে দলের জয়ের জন্য আসানসোলের ভোটারদের ধন্যবাদ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও, আসানসোলের ওই ফলকে আমল দিতে চাইছে না বিজেপি।

Advertisement

তিন দিনের পুরুলিয়া-বাঁকুড়া সফরের আগে রবিবার সন্ধ্যায় মমতা দুর্গাপুরে পৌঁছন। তিনি উঠেছেন সার্কিট হাউজ়ে। সোমবার তাঁর ভগৎ সিংহ স্টেডিয়াম থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে পুরুলিয়া রওনা দেওয়ার কথা, জানা গিয়েছে প্রশাসন সূত্রে। এ দিন দুর্গাপুরে এসে মমতা বলেন, “আমি আসানসোলের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। শত্রুঘ্ন সিনহার পক্ষে, তৃণমূলের পক্ষে তাঁরা রায় দিয়েছেন।” পাশাপাশি, দুর্গাপুরকেও তাঁর ‘প্রিয় জায়গা’ হিসেবে উল্লেখ করেন মমতা।

ঘটনাচক্রে, ২০১৪ ও ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে দু’বারই আসানসোল কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। তিনি সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। বিজেপির তরফে বার বার দাবি করা হয়েছিল, ব্যক্তি নয়, গত দু’টি লোকসভা ভোটে জিতেছিল দলই। ওয়াকিবহাল একাংশের মতে, এই পরিস্থিতিতে উপনির্বাচনটি ছিল বিজেপির কাছে কার্যত ‘মর্যাদার লড়াই’। কিন্তু ভোটের ফলপ্রকাশের পরে দেখা যায়, তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা পেয়েছেন ৬,৫৬,৩৫৮টি ভোট। বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল পেয়েছেন, ৩,৫৩,১৪৯টি ভোট। অর্থাৎ তিন লক্ষেরও বেশি ভোটে তৃণমূলের কাছে পরাজিত হয়েছে বিজেপি।

Advertisement

নেত্রীর কনভয় আসছে। দেখতে জনতার ভিড়। নিজস্ব চিত্র

তবে মমতার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দিলীপ দে’র প্রতিক্রিয়া, “লোকসভা উপনির্বাচনের নিরিখেও আসানসোলের ৫৬টি ওয়ার্ডে আমরা এগিয়েছিলাম, এর থেকে বেশি কিছু বলব না। উপনির্বাচনের ফল দেখে তৃণমূল যেন লোকসভা নির্বাচনকে না গুলিয়ে ফেলে। ২০২৪-এ আসানসোলের ফল অন্যরকম হবে।” যদিও, তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসনের প্রতিক্রিয়া, “বিজেপি দিবাস্বপ্ন দেখতেই পারে। আসানসোলের মানুষ আমাদের ভরসা রেখেছেন, আগামীদিনেও রাখবেন।”

এ দিকে, মমতা আসার আগে থেকেই কড়া নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলা হয় সার্কিট হাউজ় লাগোয়া এলাকা। সামনের রাস্তা দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। সড়কের দু’দিক দড়ি দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। রাস্তার দু’ধারে সাধারণ মানুষ মুখ্যমন্ত্রীকে দেখার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজছিল নাগাড়ে। সন্ধ্যা ৬টা ১০-এ তিনি দুর্গাপুরে পৌঁছন। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক, এডিডিএ-র চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়, দুর্গাপুর পূর্বের বিধায়ক প্রদীপ মজুমদার, আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক প্রমুখ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement