সজাগ: ভোটের দিন অণ্ডালের একটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। ছবি: ওমপ্রকাশ সিংহ।
বারাবনি
বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়ের অভিযোগ, বারাবনির বড়ডাঙায় দলীয় এজেন্টকে ঢুকতে দেয়নি তৃণমূল। বড়ডাঙা প্রাথমিক স্কুলের একটি বুথে ইভিএম মেশিন দরজার কাছে রাখা আছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসার উত্তমকুমার দাস বলেন, ‘‘এখানে আলো এত কম যে, ভিতরে মেশিন রাখা যেত না।’’ কাঁটাপাহাড়ির দু’টি বুথের একশো মিটারের মধ্যে জটলা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন বাবুল। তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে এই ভিড় সরাতে বলেন। যদিও বাহিনীর জওয়ানেরা তাঁকে জানান, শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে। দলীয় সূত্রে জামগ্রাম নর্থের একটি বুথে দলীয় এজেন্টকে মারধর করা হয়েছে খবর পেয়ে সেখানে যান বাবুল। সেখানে ফের তাঁকে বসিয়ে বাবুল অন্যত্র যাচ্ছিলেন। মাঝে ফের খবর আসে, ওই এজেন্টকে মারধর করে বার করে দেওয়া হয়েছে। পরে বাবুলকে ওই এজেন্ট জানান, তাঁকে মারধর করেছে তৃণমূল। তিনি আর বুথমুখো হবেন না। বাবুলের অভিযোগ, ‘‘বারাবনির বিস্তীর্ণ এলাকায় ছাপ্পা দিয়েছে তৃণমূল।’’ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়। এ ছাড়া রূপনারায়ণপুরের কল্যাণগ্রাম লাগোয়া দলীয় নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করেছে তৃণমূল, এমন অভিযোগ করেন সিপিএম নেতা নুরুল ইসলাম। অভিযোগ অস্বীকার করেন বিধানবাবু।
জামুড়িয়া-রানিগঞ্জ
এই দুই এলাকাতেই অভিযোগ করেছে সিপিএম ও বিজেপি। জামুড়িয়ার চুরুলিয়ার একটি বুথের সিপিএম এজেন্ট তাঁর কাছে থাকা ভোটার তালিকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ করেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পরে অবশ্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহায়তায়। তিনি তালিকা ফিরে পান। এজেন্ট বসতে এই গ্রামেরই অন্য একটি বুথে বাহিনী সহযোগিতা করে বলে জানান সিপিএম নেতৃত্ব। তৃণমূলের বিরুদ্ধে উখড়ায় বিজেপির পোলিং এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ করেন দলীয় নেতা ছোটন চক্রবর্তী। প্রতি ক্ষেত্রেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
পাণ্ডবেশ্বর
পাণ্ডবেশ্বরের নবগ্রামে চারটি বুথে দলীয় এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন সিপিএম নেতা তুফান মণ্ডল। তৃণমূল নেতা নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মিথ্যা অভিযোগ।’’
‘এখানে ভোট দিন’, দেখিয়ে দিচ্ছেন তৃণমূলের পোলিং এজেন্ট, এমনই অভিযোগ উঠল পাণ্ডবেশ্বরের গোগলা গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুনডাঙা হাইস্কুলের ১৩৬ নম্বর বুথে। এ দিন সিপিএম একটি ভিডিয়ো ফুটেজে (এর সত্যাসত্য আনন্দবাজার যাচাই করেনি) দেখিয়ে এই অভিযোগ করে। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের এজেন্ট সুবোধ রুইদাস। দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি তথা জেলা পরিষদ সদস্য সুজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এটা এখনকার কোনও ঘটনা নয়। হার নিশ্চিত জেনে বিরোধীরা এসব রটাচ্ছে।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এ ছাড়া, আসানসোল গার্লস কলেজের বুথে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগ করেন বাবুল। তাঁর অভিযোগ, আসানসোলের ৭৯ নম্বর বুথে এক দলীয় কর্মীকে মারধর করে তৃণমূলের লোকজন।
অভিযোগ অস্বীকার করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসনের বক্তব্য, ‘‘বিরোধীরা জিতবেন না বুঝে, মিথ্যা প্রচার করে সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছেন।’’