প্রচারে সিপিএম প্রার্থী। —নিজস্ব চিত্র।
অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের (এএসপি) কারখানার কৌশলগত বিনিয়োগের বিরোধিতায় সরব হলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী আভাস রায়চৌধুরী। সোমবার কারখানার গেটে প্রচারে যান প্রার্থী। এএসপি বেসরকারি মালিকানায় গেলে দুর্গাপুরের অর্থনীতি বেহাল হবে বলে দাবি করেন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে লোকসানে চলার কারণে ২০১৬ সালে এএসপি-র কৌশলগত বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে ক্যাবিনেট কমিটি অন ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স (সিসিএফএ)। প্রতিবাদে ২০১৭-র গোড়া থেকে আন্দোলনে নামে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন। ২০১৮ সালের ৩০ নভেম্বর কেন্দ্রীয় ইস্পাতমন্ত্রী চৌধুরী বীরেন্দ্র সিংহ দুর্গাপুরে এসে জানান, এএসপি-কে ঘুরে দাঁড় করাতে কী কী করা যায়, সেই রূপরেখা তিনি সংশ্লিষ্ট দফতরকে জমা দিতে বলেছেন। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সেল সূত্রে জানা যায়, এএসপি-র কৌশলগত বিলগ্নিকরণের জন্য যে আগ্রহপত্র চাওয়া হয়েছিল, তা নাকচ করা হয়েছে। কিন্তু এক দিন পরেই আবার মুম্বই স্টক এক্সচেঞ্জ এবং ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে পাঠানো সেলের চিঠি থেকে জানা যায়, এএসপি-র কৌশলগত বিলগ্নিকরণের জন্য ফের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সরকারের অনুমোদন নিয়ে শীঘ্র নতুন করে আগ্রহপত্র চাওয়া হবে।
সিপিএমের অভিযোগ, কখনও মন্ত্রী এসে এএসপি ঘুরে দাঁড় করানোর কথা বলে যাচ্ছেন। সেলের তরফে কৌশলগত বিলগ্নিকরণের জন্য যে আগ্রহপত্র চাওয়া হয়েছিল তা নাকচ করার কথা বলা হচ্ছে। তার পরেই আবার সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করার কথা বলা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার এ ভাবে শ্রমিকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে বাম নেতাদের দাবি। এ দিন কারখানার গেটে শ্রমিকদের সামনে ভোটের প্রচারে সিপিএম প্রার্থী আভাস রায়চৌধুরী দাবি করেন, ‘‘এএসপি বেসরকারি মালিকানায় গেলে দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টেরও দুর্দিন নেমে আসবে। দুর্গাপুরের অর্থনীতি বেহাল হয়ে যাবে। স্থানীয় সাংসদ কারখানা বাঁচাতে উদ্যোগী হননি। আমরা সংসদে গেলে শিল্প বাঁচানোর দাবিতে আন্দোলন আরও জোরদার হবে।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কারখানা বাঁচাতে উদ্যোগের অভাবের অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তৃণমূল এবং আইএনটিটিইউসি-র তরফে লাগাতার আন্দোলন চালানো হচ্ছে। আমাদের সাংসদ এ ব্যাপারে সংসদের ভিতর ও বাইরে সরব হয়েছেন।’’