পাঠিয়েছেন মোদী, দাবি সুরেন্দ্রর

তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভোট ঘোষণার আগে দুর্গাপুরে এসে বুঝেছিলেন, এলাকার উন্নয়নের জন্য এক জন ‘টাস্ক মাস্টার’ পাঠাতে হবে। সে জন্যই তাঁকে এই কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন বলে দাবি অহলুওয়ালিয়ার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৯ ০০:১২
Share:

দুর্গাপুরে বিজেপি প্রার্থী। নিজস্ব চিত্র

প্রার্থী হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণা হওয়ার পরেই প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী তাঁকে ‘জামাই মানুষ’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। সোমবার দুর্গাপুরে এসে তৃণমূলের মমতাজ সংঘমিতার সেই মন্তব্য নিয়ে বিজেপি প্রার্থী সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়ার প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমি তো সত্যিই এখানকার জামাই। তা অস্বীকার করব কেন? জ্যোতিবাবুও তো আমায় জামাই বলেই ডাকতেন!’’

Advertisement

একেবারে শেষলগ্নে এসে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে দলের প্রার্থী হিসাবে রবিবার অহলুওয়ালিয়ার নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। তার পরেই তাঁকে নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে। বিজেপি নেতাদের দাবি, এলাকার সঙ্গে যোগ রয়েছে এবং ‘হেভিওয়েট’ এমন এক জন প্রার্থী পেয়ে কর্মীরা উজ্জীবিত হয়ে প্রচারে নেমে পড়েছেন। দেওয়াল লিখন আগেই হয়ে গিয়েছিল। প্রার্থীর নামের জায়গা ফাঁকা ছিল। রবিবার রাতের মধ্যেই বহু দেওয়ালে সেই জায়গা পূরণ করে ফেলা হয়েছে।

২০১৪ সালে এই লোকসভা আসনে ৪১ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয় তৃণমূল। সিপিএম ৩৪ শতাংশ এবং বিজেপি ১৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। তবে বিজেপি নেতা-কর্মীদের দাবি, এ বার পরিস্থিতি অন্য রকম। তৃণমূল সাংসদের কাজকর্ম নিয়ে সন্তুষ্ট নন বাসিন্দারা। তাই অহলুওয়ালিয়ার মতো প্রার্থী পাওয়ায় জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করেছেন বলে দাবি তাঁদের। দুর্গাপুর, পানাগড়, বর্ধমানে বহু পঞ্জাবি বাসিন্দা রয়েছেন। অহলুওয়ালিয়া প্রার্থী হওয়ায় সেই ভোটের বেশিরভাগটাই তাঁদের ঝুলিতে আসবে বলে আশা করছেন বিজেপি নেতারা। এ দিন দুর্গাপুরে এসে কিছু পঞ্জাবি বাসিন্দার সঙ্গে দেখাও করেন বিজেপি প্রার্থী।

Advertisement

রবিবার বিজেপি প্রার্থী সম্পর্কে এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মমতাজ সংঘমিতা বলেছিলেন, ‘‘উনি জামাই মানুষ। আসবেন, খাবেন, চলে যাবেন। আমি ওঁকে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবছি না।’’ সোমবার অহলুওয়ালিয়ার পাল্টা বক্তব্য, ‘‘প্রতিদ্বন্দ্বীরা সবাই নিজের নিজের কথা বলেন। বিচার করেন মানুষ। এখানকার মানুষ যদি চান যে এলাকার উন্নয়ন হোক, নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে তাঁরা বিজেপিকেই ভোট দেবেন।’’ তাঁর পুরনো কেন্দ্র দার্জিলিংয়ে কোনও উন্নয়ন হয়নি বলে অভিযোগ তৃণমূলের। তা অস্বীকার করে বিজেপি প্রার্থীর দাবি, ‘‘তৃণমূলের লোকজন চোখে ঠুলি পরে আছেন। তাই তাঁরা আমাদের কাজ দেখতে পান না।’’

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

এলাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানাগুলি না খোলা, এএসপি-র বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত এ বার ভোটে বিজেপির বিপক্ষে যাবে বলে দাবি তৃণমূলের। কেন্দ্র সম্পর্কে অহলুওয়ালিয়ার বক্তব্য, ‘‘মিশ্র এলাকা। কৃষি রয়েছে, গ্রামীণ এলাকা রয়েছে, শিল্পাঞ্চল রয়েছে। পুরনো শিল্পগুলি রুগ্‌ণ হয়ে গিয়েছে। শুধু শিল্পাঞ্চল নয়, গ্রামীণ এলাকা এবং কৃষিরও উন্নয়ন দরকার। সব ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে এলাকার উন্নয়ন করতে চাই।’’ তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভোট ঘোষণার আগে দুর্গাপুরে এসে বুঝেছিলেন, এলাকার উন্নয়নের জন্য এক জন ‘টাস্ক মাস্টার’ পাঠাতে হবে। সে জন্যই তাঁকে এই কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন বলে দাবি অহলুওয়ালিয়ার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement