বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ করল তৃণমূল। বুধবার কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু জেলাশাসক এবং কালনার মহকুমাশাসককে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, বিধি ভেঙে বাঘনাপাড়া পঞ্চায়েতের কয়া গ্রামের মৃত চাষির পরিবারকে নগদ অর্থ সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী পরেশচন্দ্র দাস।
সোমবার ওই গ্রামের চাষি মাধব মাঝির অপমত্যুর পরে তাঁর পরিবারের তরফে দাবি করা হয়, চাষের জন্য লাখখানেক টাকা ঋণ হয়ে গিয়েছিল তাঁর। আলু তোলার মুখে বৃষ্টিতে জমিতে পচে যায় বেশির ভাগ ফসল। সেই অবসাদ ও ঋণ শোধ করতে না পারার চাপেই আত্মঘাতী হন তিনি। মঙ্গলবার বিজেপির জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ, প্রার্থী পরেশবাবু-সহ দলের বেশ কিছু নেতা-কর্মীরা ওই চাষির বাড়ি গিয়ে তাঁর স্ত্রী বীণারানিদেবীর সঙ্গে দেখা করেন। তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, ওই বাড়িতে গিয়ে পরেশবাবু যা বলেছেন তার ভিডিয়ো পেয়েছেন তাঁরা। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, পরেশবাবু বলেছেন, ‘আমি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছি। আমার পেনশন অ্যাকাউন্ট থেকে ৫০ হাজার টাকা দেব আপনাকে। আমায় ভুল বুঝবেন না। এখন এর থেকে আর বেশি পারব না। আপনারা সুযোগ দিলে আমি সর্বান্তকরণে চেষ্টা করব, যাতে সংসারটা বাঁচে।’ আনন্দবাজারের পক্ষে অবশ্য ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
বুধবার বিধায়ক বিশ্বজিৎবাবু বলেন, ‘‘নির্বাচনী বিধি চালু হওয়ার পরে বিজেপি প্রার্থী মৃত চাষির বাড়িতে গিয়ে টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়ে তদন্তের দাবি করা হয়েছে।’’ যদিও পরেশবাবুর দাবি, ‘‘আমি মৃত চাষির স্ত্রীকে কোনও অর্থ সাহায্য করিনি। ওঁর সামনে যে মন্তব্য করেছিলাম তা প্রত্যহারও করে নিয়েছি। এ নিয়ে হইচই করার মানে নেই।’’ বিজেপি নেতাদের দাবি, ওই পরিবারের দুর্দশা দেখে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি পরেশবাবু। তাই আচমকা সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফেলেছেন। দলের একাংশ তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা না থাকাকেও দায়ী করেছেন কারণ হিসেবে।
কালনার মহকুমাশাসক নীতিশ ঢালি বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯