সকালে কর্মী-বৈঠক, বিকেলে সভা-মিছিল

ভোটের প্রচারের জন্য রবিবার দিনটা এ ভাবেই ভাগ করে নিলেন প্রার্থীদের অনেকে। ‘স্বচ্ছতা অভিযান’ বা স্মরণসভায় যোগ দিয়ে জনসংযোগ করতেও দেখা গেল কোনও-কোনও প্রার্থীকে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৯ ০২:১১
Share:

সকালে কর্মী বৈঠকে জোর। রোদের তেজ খানিকটা কমার পরে সভা-মিছিল। ভোটের প্রচারের জন্য রবিবার দিনটা এ ভাবেই ভাগ করে নিলেন প্রার্থীদের অনেকে। ‘স্বচ্ছতা অভিযান’ বা স্মরণসভায় যোগ দিয়ে জনসংযোগ করতেও দেখা গেল কোনও-কোনও প্রার্থীকে।

Advertisement

তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে দলের জেলা পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস একটি বৈঠক করেন। সেখানে গত বারের মতো বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সুনীল মণ্ডলের নির্বাচনী এজেন্ট বেছে নেওয়া হয়েছে দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্তকে। বর্ধমান-দুর্গাপুরের প্রার্থী মমতাজ সংঘমিতার নির্বাচনী এজেন্ট ঠিক করা হয়েছে জেলা পরিষদের মেন্টর উজ্জ্বল প্রামাণিককে। তবে দুর্গাপুরের দু’টি বিধানসভার জন্য পৃথক কমিটি গঠন করে দিয়েছেন অরূপবাবু।

রবিবার সকালে দুর্গাপুরে সৃজনী সভাঘরে ওই কমিটির সঙ্গে এক দফা বৈঠকের পরে কর্মিসভা করেন মমতাজ সংঘমিতা। বিকেলে মন্তেশ্বরের কিছু এলাকা, মেমারির সাতগেছিয়া, পাহাড়হাটি, বেগুনিয়ায় প্রচারে বেরোন। তাঁর কথায়, “মানুষের ভাল সাড়া পাচ্ছি।’’ এ দিন সকালে নির্বাচনী এজেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেন সুনীলবাবু। সেখান থেকে জেলা দফতরে আলোচনা সেরে চলে যান কালনার সিঙ্গেরকোনে। সেখানে প্রচার ও কর্মিসভার পরে মেমারির সাতগেছিয়া এলাকায় প্রচারে যান। তাঁর কথায়, “উন্নয়নকে সামনে রেখেই আমাদের প্রচার।’’

Advertisement

এ দিন সন্ধ্যায় বর্ধমান পূর্ব লোকসভার সিপিএম প্রার্থী ঈশ্বরচন্দ্র দাস মেমারিতে একটি কর্মী বৈঠক করেন। তার আগে বিকেলে রায়নার সগড়াই মোড়ে সভা ও মিছিল করেন। ওই এলাকারই এক কর্মীর বাড়ির এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ঈশ্বরবাবু। তিনি বলেন, ‘‘সকালে কাটোয়া থেকে আসার পথে দাঁইহাট মোড়ে দাঁড়িয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। তার পরে মেঝিয়ারি হাটতলায় বাসিন্দাদের জনসংযোগ করেছি। দাস্তিরপাড় এলাকাতেও দাঁড়িয়েছিলাম।’’ বর্ধমান-দুর্গাপুরের সিপিএম প্রার্থী আভাস রায়চৌধুরী সকালে বিদ্যার্থী বালিকা বিদ্যালয় লাগোয়া দলের অফিসে কর্মিসভা করেন। বিকেলে ভাতারের খেঁড়ুর গ্রামে দলের এরিয়া কমিটির সদস্য স্বপ্না রায়ের স্মরণসভায় যোগ দেন।

বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি এখনও প্রার্থী দেয়নি। তবে বর্ধমানের উৎসব ময়দানে এ দিন বিজেপি-র মহিলা কর্মীদের নিয়ে একটি সভা হয়। ছিলেন সৌমিত্র খাঁ ও আইনুল হক। বর্ধমান পূর্বের প্রার্থী পরেশচন্দ্র দাস রবিবার থেকেই জোরকদমে প্রচারে নামলেন। সকালে মঙ্গলকোটের কৈচর গ্রামের বাড়িতে বৈঠক করেন তিনি। তার পরে পৌঁছে যান কাটোয়ায়। মধ্যাহ্নভোজের পরে তিনি চলে যান বিকিহাটের বিশ্বশুক আশ্রমে। ওই এলাকায় ‘স্বচ্ছ্বতা অভিযান’ সেরে কাটোয়ার এক বিজেপি কর্মীর স্মরণসভায় পৌঁছন তিনি।

পরেশবাবু এ দিন বলেন, ‘‘মানুষ আর অশান্তি চান না। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আনাই লক্ষ্য।’’ এ দিন মুস্থুলি এলাকার অন্য দলের শ’দুয়েক কর্মী-সমর্থক তাঁদের দলে যোগ দেন বলে দাবি জেলা বিজেপি নেতৃত্বের। মঙ্গলকোটে তৃণমূলের ‘অন্তর্দ্বন্দ্ব’ নিয়েও এ দিন সরব হন পরেশবাবু। তিনি দাবি করেন, ‘‘ওখানে শাসকদলের দুই গোষ্ঠী। এক গোষ্ঠী আমাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। প্রচার কিছুটা এগোলেই তাদের বেশ কিছু কর্মী বিজেপিতে যোগ দেবেন।’’ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অপূর্ব চৌধুরীর পাল্টা বক্তব্য, ‘‘মঙ্গলকোটে বিজেপি-র অস্তিত্বই নেই। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরেই ভরসা রাখেন।’’

প্রার্থীর নাম এখনও ঘোষণা না হওয়ায় প্রচারের প্রথম পর্বে বাকিদের চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে কংগ্রেস। যদিও দলের নেতাদের দাবি, তাঁরা জনসংযোগ করছেন। প্রার্থী ঘোষণা হলেই প্রচারে জোর বাড়ানো হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement