প্রার্থীর নাম নেই, বিজেপি কর্মীদের উদ্যমে ‘ভাটা’

বুধবার বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের কয়েক জন বিজেপি কর্মী বলেন, ‘‘তৃণমূল-সিপিএম প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে। প্রতিদিনই শুনছি, আমাদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হবে। কিন্তু কবে যে হবে, বুঝতে পারছি না। আরও গড়িমসি করলে প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে প্রচার করে কতটা টক্কর দেওয়া যাবে, জানি না!’’

Advertisement

সৌমেন দত্ত

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৯ ০২:৩০
Share:

প্রার্থীর নাম দিয়ে দেওয়াল লিখন সেরে ফেলেছে তৃণমূল এবং সিপিএম। বিজেপি-র দেওয়াল এখনও ফাঁকা। বুধবার বর্ধমান শহরে। ছবি: উদিত সিংহ

দেওয়ালে সাদা রঙের প্রলেপ পড়েছে। প্রতীকও আঁকা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু প্রার্থীর নাম নেই। কবে প্রার্থী ঘোষণা হবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন বিজেপি নেতা-কর্মীদের কাছে।

Advertisement

বুধবার বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের কয়েক জন বিজেপি কর্মী বলেন, ‘‘তৃণমূল-সিপিএম প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে। প্রতিদিনই শুনছি, আমাদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হবে। কিন্তু কবে যে হবে, বুঝতে পারছি না। আরও গড়িমসি করলে প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে প্রচার করে কতটা টক্কর দেওয়া যাবে, জানি না!’’

জেলা বিজেপি সূত্রের দাবি, বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র নিয়ে আশাবাদী দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দুর্গাপুরে সভা করে গিয়েছেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী। তার পর থেকে জোরকদমে সংগঠন শক্ত করার কাজ চলছিল। ভোট ঘোষণা হওয়ার আগে থেকে দেওয়াল দখল থেকে শুরু করে প্রচারের নানা কাজে টক্করও দিচ্ছিলেন দলের কর্মীরা। কিন্তু প্রার্থী ঘোষণা না হওয়ায় তাঁদের উদ্যমে খানিক ভাটা পড়েছে, মানছেন দলের অনেকেই।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

একই পরিস্থতি বর্ধমান পূর্ব লোকসভা এলাকাতেও। সেখানকার এক বিজেপি কর্মীর কথায়, “কাটোয়া, পূর্বস্থলী উত্তর ও জামালপুর বিধানসভা এলাকায় ভাল ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওই তিন জায়গায় আমাদের সংগঠনও আগের চেয়ে মজবুত হয়েছে। কিন্তু প্রচারে আমরা কিছুটা পিছিয়ে পড়লাম।’’ গত বারের প্রার্থীদের এ বারও প্রার্থী করায় তৃণমূল এবং সিপিএম প্রচারে কিছুটা সুবিধা পাচ্ছে বলেও মনে করছেন বিজেপি কর্মীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, গত বছর তাঁদের প্রার্থী এলাকাবাসীর কাছে অচেনা হলেও এক লক্ষ ৭০ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছিলেন। এ বার পরিচিত প্রার্থীকে আগে থেকে ময়দানে নামালে হিসাব পাল্টাতে পারত, ধারণা তাঁদের। তবে বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রে বিজেপির ভারপ্রাপ্ত নেতা কৃষ্ণ ঘোষের বক্তব্য, “মানুষ ভোট দিতে পারলেই বোঝা যাবে, হিসাব পাল্টেছে। নরেন্দ্র মোদীকে দেখেই মানুষ আমাদের ভোট দেবেন।’’

গত বার বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী ২ লক্ষ ৩৭ হাজার ভোট পেয়েছিলেন। এই কেন্দ্রে কে প্রার্থী হবেন, সে নিয়ে নানা জল্পনা রয়েছে কর্মীদের মধ্যে। তাতে বেশি বিভ্রান্ত হচ্ছেন তাঁরা, দাবি স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। এক নেতার কথায়, “অনেকেই বিখ্যাত কাউকে চেয়ে দলে দরবার করেছেন। আবার অনেকে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী প্রার্থীর কথা বলেছেন। লোকমুখে নানা প্রচার হচ্ছে। এত দিনে প্রার্থী ঘোষণা হয়ে গেলে এত কথা উঠত না।’’ এই কেন্দ্রে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সন্দীপ নন্দী অবশ্য দাবি করেন, “আমরা নানা রকম কর্মসূচি নিয়েছি। মানুষকে কেন্দ্রের উন্নয়নের কথা বলছি। মানুষ নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী করবেন। কে প্রার্থী হবেন, তা কোনও বিষয় নয়।’’

জেলা তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্ত বলেন, “আমরা সব আসনেই জিতব। কে কোথায় প্রার্থী দিল বা দিতে পারল না, সে নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যথা নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement