আভাসই নতুন মুখ।
জল্পনা চলছিল। পুরনো মুখেই আস্থা থাকবে, না কি নতুন মুখ আসবে ভোটে, তা নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন না দলের কর্মীরাও। বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোটে আনকোরা অথচ রাজনীতিতে চেনা মুখ আভাস রায়চৌধুরীতেই আস্থা রাখল সিপিএম।
৫১ বছরের আভাসবাবু বর্ধমান শহরেরই বাসিন্দা। তাঁর বাবা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করতেন। তিনি নিজেও বিবেকানন্দ কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক হয়ে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় এসএফআই-এর সম্পাদক ছিলেন। পরে বর্ধমান শহরেও এসএফআইয়ের সম্পাদক হন। ডিওয়াইএফ-এর রাজ্য সম্পাদক হন ২০০৮ সালে। পরে আসানসোলে দলের সংগঠন বাড়ানোর দায়িত্ব পান তিনি। শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে যোগাযোগ তখনই। সিটুর ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যও হন। তবে জেলা ভাগের পরবর্তী সময়ে ফের বর্ধমানে ফেরেন তিনি। বরাবর ছাত্র-যুব নেতা হিসেবে পরিচিত এই নেতা বর্ধমান থেকেই দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। তবে ভোটে দাঁড়ানো এই প্রথম।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সিপিএম সূত্রের খবর, এই কেন্দ্র থেকে দলের এক প্রবীণ নেতার নাম ভাবা হয়েছিল। কিন্তু তিনি দাঁড়াতে না চাওয়ায় আভাসবাবুর নাম উঠে আসে। এ দিন দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণার পরেই নেতা-কর্মীদের নমিয়ে বৈঠক, দেওয়াল লিখন, মিছিল শুরু হয়ে যায়। জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিক বলেন, ‘‘আভাস কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। দল ওঁকে প্রার্থী করায় খুবই ভাল হয়েছে।’’ দলীয় বৈঠকে ব্যস্ত থাকায় প্রার্থীর সঙ্গে বহু চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
গত বার এই কেন্দ্রে সিপিএমের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন সইদুল হক। তৃণমূল প্রার্থী মমতাজ সঙ্ঘমিতার সঙ্গে ভোটের ব্যবধান ছিল এক লক্ষ পাঁচ হাজারের কিছু বেশি।