Eviction

বিজেপি বিধায়ককে ঘিরে ধরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান, আসানসোলে উচ্ছেদে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে রেল

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, উপযুক্ত পুনর্বাসন না দেওয়া হলে তাঁরা জমি ছেড়ে নড়বেন না। এই অবস্থায় সেখানে পৌঁছে স্থানীয় মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়েন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:০৬
Share:

উচ্ছেদ ঘিরে উত্তাপ দুর্গাপুরে। — নিজস্ব চিত্র।

ফ্রেট করিডরের জন্য রেলবস্তি উচ্ছেদ করতে গেলে বাধা। উচ্ছেদ বন্ধ। পরে দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই ঘটনাস্থলে গেলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ এবং গো ব্যাক স্লোগান বাসিন্দাদের।

Advertisement

ফ্রেট করিডর তৈরির জন্য রেলের জমিতে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ করতে এসে বিক্ষোভের মুখে রেল। গো ব্যাক স্লোগানে পিছু হটলেন বিজেপি বিধায়কও। কার্যত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি দুর্গাপুরের মায়াবাজারে। দুর্গাপুর পুরনিগমের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের মায়াবাজার সংলগ্ন এলাকায় রেলের জমিতে দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করছে একাধিক পরিবার। বিগত কয়েক মাস আগে সেই জমি থেকে বসবাসকারীদের উচ্ছেদের নোটিস দেয় রেল কর্তৃপক্ষ। তবে বসবাসকারীদের দাবি ছিল, তাঁদের পুনর্বাসন এবং ক্ষতিপূরণ দিয়ে সেখান থেকে উচ্ছেদ করা হোক। একাধিক বার রেলের কাছে সেই দাবিও রেখেছিলেন স্থানীয়রা। কিন্তু বাসিন্দাদের অভিযোগ, সে কথায় কর্ণপাত করেনি রেল কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার সকালে রেল কর্তৃপক্ষ এলাকায় উচ্ছেদ করতে এলে বাধার মুখে পড়েন। শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ। ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ। বিধায়কের সামনেই ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়রা। ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে শুরু করেন তাঁরা। ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়। দ্রুত পুনর্বাসন এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়া না হলে আন্দোলন জোরদার করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। স্থানীয় তৃণমূল নেতা লোকনাথ দাস বলেন, ‘‘বিজেপি বিধায়ক কোনও দিন এলাকাবাসীর পাশে ছিলেন না। হঠাৎ করে আজ এসে নাটক করছেন!’’ অন্য দিকে বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই জানিয়ে দেন, তিনি এলাকাবাসীর পাশেই আছেন। পুনর্বাসন দেওয়া না হলে তাঁদের তরফ থেকেও উচ্ছেদ করতে দেওয়া হবে না। উত্তেজনা সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement