পরাশিয়ায় বিক্ষোভ। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
খোলা বাজারে বিক্রি করার কয়লা (নিলাম পদ্ধতিতে ডেলিভারি অর্ডার বা ডিও-র মাধ্যমে কেনা) যন্ত্র দিয়ে নয়। শ্রমিকদের মাধ্যমে ডাম্পার বা ট্রাকে বোঝাই করতে হবে। এই দাবিতে বুধবার ইসিএলের কুনোস্তোরিয়া এরিয়ার পরাশিয়া কোলিয়ারির এজেন্ট কার্যালয় প্রায় এক ঘণ্টা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। পরে এজেন্টকে স্মারকলিপি দেন তাঁরা।
এ দিন পরাশিয়া পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান লক্ষ্মী মুন্ডা, তৃণমূল নেতা কল্যাণ ঘোষদের নেতৃত্বে পরাশিয়া, বেলবাঁধ, জোড়জানকী, ঘোষপুকুর, নিচু সেন্টার, সিঙ্গারণ, চালতাধাওড়া, ঝাঁগোড়িয়া, কেন্দা ডাঙালপাড়া, কুলডাঙা, মুন্ডাপাড়া, চাটাইধাওড়ার বাসিন্দারা মিছিল করে কোলিয়ারির এজেন্ট কার্যালয়ের সামনে আসেন। কল্যাণ জানান, পরাশিয়া কোলিয়ারির অন্তর্গত পরাশিয়া খোলামুখ খনিতে ১৯৭৮ থেকে সড়ক পথে ডিও-এর কয়লা গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া হত। ১৯৯৬-এ খনিটি বন্ধ হয়ে যায়। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ওই খনি থেকে ডিও-এর কয়লা নিয়ে যাওয়া হত সড়ক পথে। শ্রমিকদের সাহায্যেই কয়লা বোঝাই করা হত। তাঁর অভিযোগ, বেলবাঁধ কোলিয়ারিতে ২০১৩ থেকে সড়কপথে ডিও-এর কয়লা যন্ত্রের সাহায্যে বোঝাই করে পাঠানো হয়। তিনি বলেন, “এর প্রতিবাদে বার বার বিক্ষোভ হয়। তখন সংস্থা কর্তৃপক্ষ সড়ক পথে ডিও-এর কয়লা পাঠানো বন্ধ করে দেন। আবার চলতি বছরের জুলাই মাসে সংস্থা কর্তৃপক্ষ বেলবাঁধ কোলিয়ারি সাইডিং থেকে সড়ক পথে ডিও-এর মাধ্যমে কয়লা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার প্রাথমিক ধাপ হিসাবে ৫০০ টন কয়লা (ডিও) নিয়ে যাওয়ার জন্য ঠিকাসংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছ।” সংস্থা কর্তৃপক্ষ যন্ত্রের সাহায্যে কয়লা বোঝাই করার পরিকল্পনা নিয়েছেন বলে অভিযোগ। তা হতে দেবেন না বলে গ্রামের বাসিন্দাদের নিয়ে অরাজনৈতিক ভাবে দেখানো হয় বলে জানান কল্যাণ।
প্রাক্তন প্রধান লক্ষ্মীর দাবি, “ইসিএল কর্তৃপক্ষ বেলবাঁধ এলাকায় একটি বড় খোলামুখ খনি তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছেন। তার আগে পুরনো প্রতিশ্রুতি অনুয়ায়ী, লাগোয়া এলাকার সব রাস্তায় পথবাতি, পর্যাপ্ত জল-সহ স্থানীয়দের চাকরিতে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। ডিও-এর কয়লা শ্রমিকদের মাধ্যমে বোঝাই করা হলে এলাকার গরিবের অনেকেই কাজ পাবেন।” আইএনটিটিইউসি-র কুনুস্তোরিয়া এরিয়ার সম্পাদক রামেশ্বর ভগৎ জানান, বাসিন্দাদের দাবি যথার্থ। পরাশিয়া কোলিয়ারির এজেন্ট মধুসূদন সিংহ জানান, আলোচনার মাধ্যমে দাবিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে।