প্রতারণার অভিযোগ থেকে নেতার নাম তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। সঙ্গে থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগে জানিয়েছেন মন্তেশ্বরের বাসিন্দা বাণীব্রত চৌধুরী। যদিও মন্তেশ্বর থানা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। যে নেতার নামে অভিযোগ, সেই তৃণমূলের মন্তেশ্বর ব্লক সভাপতি সজল পাঁজারও দাবি, অভিযোগকারী নিজেই প্রতারক। অভিযোগের ভিত্তি নেই।
বাণীব্রতবাবুর অভিযোগ, ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে থানার দুই কর্মী এসে বাড়ির দরজা ধাক্কাধাক্কি করে তাঁকে ডেকে নিয়ে যান থানায়। অভিযোগ, সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক স্নেহময় চক্রবর্তী তাঁকে ভোটে হাজির না হতে বলে ধাক্কাধাক্কি করেন ও অশালীন কথাবার্তা বলেন। তিনি প্রতিবাদ করায় তাঁর স্ত্রীকেও কটুক্তি করা হয় বলে অভিযোগ। পরে একটি আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ থেকে মন্তেশ্বরের নেতা সজল পাঁজার নাম তুলে নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। বাণীব্রতবাবুর দাবি, এর আগে তেঁতুলিয়া গ্রামে পোস্ত চাষ বন্ধ করার জন্য থানায় জানিয়েছিলেন তিনি। সেই সময়েও ওই আধিকারিক তাঁকে শাঁসান। এরপরেই জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেন তিনি।
যদিও অভিযোগ মানতে চায়নি মন্তেশ্বর থানা। জেলা পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল বলেন, ‘‘বিষয়টি এখনও জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’ জেলাশাসক সৌমিত্র মোহনকে এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁর দাবি, ‘‘এখনও কোনও অভিযোগ পাইনি। পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ আর তৃণমূল নেতা সজল পাঁজার দাবি, ‘‘অভিযোগকারী নিজেই প্রতারক। থানায় খোঁজ নিলেই ওর সম্পর্কে সব জানা যাবে।’’
প্রয়াত নেতা। প্রয়াত হলেন তৃণমূলের প্রদেশ কমিটির সদস্য, জামুড়িয়ার নণ্ডী গ্রামের বাসিন্দা হারাধন ভট্টাচার্য (৫৫)। রবিবার জামুড়িয়া বাজারে শ্রদ্ধা জানান দলীয় নেতা-কর্মীরা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি সেরিব্রাল অ্যাটাক হওয়ায় তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পর ফের শুক্রবার থেকে অবস্থার অবনতি হয় হারাধনবাবুর স্বাস্থ্যের। শনিবার তাঁকে কলকাতার তাঁর মৃত্যু হয়।