অন্ডালে কয়লা খনিতে দুর্ঘটনা। — নিজস্ব চিত্র।
কয়লা খনিতে আবার ধস। খনির সুপারভাইজার-সহ দুই খনি শ্রমিককে ঘন্টাখানেক পর উদ্ধার করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিন জনকে ভর্তি করানো হয়েছে খনি হাসপাতালে। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে গাফিলতির অভিযোগকে সামনে রেখে বিক্ষোভ খনির শ্রমিকদের। ব্যাপক উত্তেজনা ইসিএলের কেন্দা এলাকার বহুলার নর্থ জামবাদ কোলিয়ারিতে।
বৃহস্পতিবার সকালে সুপারভাইজার সাদ্দাম মোহান্তি এবং দুই খনি শ্রমিক আশুতোষ মাঝি ও মনোজকুমার ভূঁইয়ার ওপর খনির চাঙ্গড় ভেঙে পড়ে। গুরুতর আহত হন তাঁরা। অভিযোগ, সহকর্মীরা খনি কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জানানোর পরেও দীর্ঘ সময় লেগে যায় স্রেফ স্ট্রেচার আনতে। খনি শ্রমিকদের অভিযোগ, ইসিএল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জেরেই এই ধরনের দুর্ঘটনা বার বার ঘটছে। পর্যাপ্ত স্ট্রেচার না থাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পর খনিগহ্বর থেকে শ্রমিককে তুলে হাসপাতালে পৌঁছতেও অনেক দেরি হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে কর্মীদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়েন ইসিএল আধিকারিকেরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছন শ্রমিক সংগঠনের নেতারাও।
সিটু নেতা মানবেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এখানে পরিকাঠামো কিছু নেই। খুব খারাপ অবস্থা। আমরা চাই খাদের তদন্ত করা হোক। না হলে এর পর মানুষের মৃত্যু হবে। এআইটিইউসি নেতা অখিলেশ সিংহ বলেন, ‘‘ইসিএল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জেরেই এই ধরনের ঘটনা বারে বারে ঘটছে। দু’ঘণ্টা ওখানেই পড়েছিলেন তিন জন বলে জানতে পেরেছি। একে অমানবিক বললেও কম বলা হয়। আমরা সমস্ত ট্রেড ইউনিয়নের পক্ষ থেকে তদন্তের দাবি করছি।’’