এই পুকুরটি ভরাট করার অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। — নিজস্ব চিত্র।
পুকুর ভরাট করে সেই জমিতে বহুতল নির্মাণের ঘটনা আশপাশে চোখ রাখলে নজর এড়ায় না। কিন্তু পুরনিগমের অদূরে এমন ঘটনা ঘটছে অথচ প্রশাসনের হুঁশ নেই! এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে আসানসোলে। অভিযোগ, পুকুর ভরাট চক্রের সঙ্গে যোগ রয়েছে পুরনিগমের একাংশের। তাই, সব দিনের আলোয় চললেও তা যেন চোখেই পড়ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
আসানসোল পুরনিগম থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে আসানসোল বাজার। পুরনিগমের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত এই এলাকায় পুকুর ভরাটের অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাদের অভিযোগ, চারপাশে সীমানা প্রাচীর তৈরি করে পুকুরটি ভরাট করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এর পর এখানে বাড়ি তৈরি হবে। তা লক্ষ লক্ষ টাকায় বিক্রি করা হবে মানুষের কাছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের প্রশ্ন, পুকুর ভরাট করে যে জমি পাওয়া যায়, তাতে যে ফ্ল্যাট তৈরি হবে, তার গুণমান নিয়ে। তাদের আশঙ্কা, সেই বাড়ি আবার ভেঙে পড়বে না তো? ঠিক যেমন হল কলকাতার গার্ডেনরিচে।
বাজার এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় গুপ্ত, মুকেশ শর্মা, নির্মল চৌবে, রোশন শর্মারা জানান, প্রশাসন সে ভাবে কিছুই করছে না। ২০১৮ সাল থেকে আন্দোলনে নেমেছেন আসানসোল বাজার এলাকার এনএস রোডের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। নতুন করে এখন আবার মেয়র এবং পুর কমিশনারকে বিষয়টি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তার পর আধিকারিকরা এসে পরিস্থিতি দেখে গিয়েছেন বটে, তবে কাজের কাজ কিছুই দেখতে পাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়ে আধিকারিকদের পাঠানো হয়েছিল। ভূমি দফতরকেও জানানো হয়েছে। পুকুর ভরাটের কাজ বন্ধ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন তাঁদের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
কিন্তু প্রশাসনের গড়িমসিতে বিরক্ত পুরনিগমের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁরা বলছেন, যত ক্ষণ পুকুরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা না হবে, তত ক্ষণ আন্দোলন চলবে। এখন দেখার, পুকুরকে পুরনো অবস্থায় ফেরাতে কবে উদ্যোগ নেয় পুরনিগম।