ডেঙ্গি নিয়ে বাসিন্দাদের সচেতন করতে হবে কী ভাবে, সে বিষয়ে পঞ্চায়েতের প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক করলেন কাটোয়ার মহকুমাশাসক সৌমেন পাল। মঙ্গলবার কাটোয়ার রবীন্দ্রভবনে এই বৈঠকের আয়োজন হয়।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত কাটোয়া পুরসভা-সহ পাঁচটি ব্লক মিলিয়ে মহকুমায় ৪৫ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। শুধুমাত্র দাঁইহাট পুরসভায় এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের তথ্য নেই। ডেঙ্গি এড়াতে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, এ দিন তা বোঝানো হয় জনপ্রতিনিধিদের। তাঁদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে এ বিষয়ে সচেতনতা প্রচারে উদ্যোগী হতে বলেন মহকুমাশাসক।
সোমবারই মঙ্গলকোটে ব্লকের ১৫টি পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক হয়। ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, মঙ্গলকোট, ঝিলু ২, কৈচোর, ভাল্যগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ডেঙ্গি আক্রমণের খবর মিলেছে। শুধু তাই নয়, ম্যালেরিয়াও হচ্ছে কিছু এলাকায়। সিঙ্গত গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে সামান্য দূরত্বে একটি পাড়ায় ম্যালেরিয়ায় এক জন আক্রান্ত হওয়ায় চিন্তায় পড়েছে ব্লক প্রশাসন। ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও জ্বরে আক্রান্ত রোগীর চাপ বাড়ছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, প্রতিটি এলাকায় স্বাস্থ্য বিভাগের দল গিয়ে প্রচার চালাচ্ছে। জ্বর হলেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বাসিন্দাদের। পঞ্চায়েত থেকে এলাকায় জঞ্জাল সাফাই, মশা মারার স্প্রে-সহ একাধিক পদক্ষেপ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এ দিন কাটোয়ার বৈঠকে নির্মল বাংলা প্রকল্প নিয়েও আলোচনা হয়। মহকুমাশাসক জানান, গত জুলাইয়ের শেষে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মহকুমার ২২টি গ্রামে এখনও উপযুক্ত পরিমাণে শৌচাগার তৈরি হয়নি। শীঘ্রই যাতে শৌচাগার তৈরি করে দেওয়া হয়, সেই বন্দোবস্ত করতে বলা হয় প্রধান ও বিডিওদের। চলতি মাসেই সেই কাজ সেরে ফেলা হবে বলে আশ্বাস মহকুমাশাসকের। শৌচাগার ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে এ দিন কাটোয়ার গাঁফুলিয়ায় এক সচেতনতার অনুষ্ঠানেও যোগ দেন মহকুমাশাসক।