—প্রতীকী ছবি।
অ্যাসিড হামলায় দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে দশ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া মহকুমা আদালতের প্রথম অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সুকুমার সূত্রধর। এ ছাড়াও রাজ্য সরকারকে ক্ষতিগ্রস্তকে এক লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারক। অ্যাসিড হামলায় দোষীদের শাস্তিদানে নতুন আইনের ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৬ এ ধারায় কাটোয়া মহকুমা আদালতে এই প্রথম প্রয়োগ হল বলে দাবি করেন সরকারি আইনজীবী দেবাশিস মণ্ডল।
কেতুগ্রামের কান্দরা গ্রামের পূর্বপাড়ায় ২০২০ সালের ৩ জুন গভীর রাতে পুরনো বিবাদের জেরে বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় বাপি মাঝির উপর অ্যাসিড হামলা চালায় গ্রামের বাসিন্দা সীতারাম মাঝি। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাপি মাঝি, তাঁর স্ত্রী সখি মাঝি ঘরে শুয়ে ছিলেন। গভীর রাতে সীতারাম মাঝি পাঁচিলে উঠে জানলা দিয়ে বাপিকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছুড়ে দিয়ে পালিয়ে যান। বাপির শরীরে জলের মতো তরল পদার্থ পড়লে তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। বাপি ও তাঁর স্ত্রীর শরীরে অসহ্য জ্বালাপোড়া শুরু হলে চিৎকার করতে থাকেন। আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা রাতেই জখম দম্পতিকে কান্দরা ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসক জানান, তাঁদের উপর অ্যাসিড হামলা হয়েছে। বাপির স্ত্রীকে হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দিলেও বাপি মাঝিকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে রেফার করা হয়। পর দিন বাপির ভাই আশিস মাঝি দাদাকে অ্যাসিড দিয়ে খুনের চেষ্টার দায়ে সীতারাম মাঝির নামে কেতুগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কেতুগ্রাম থানা অভিযুক্ত সীতারাম মাঝিকে গ্রেফতার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে।
২০২২ সালের জুলাই মাস থেকে মামলার শুনানি শুরু হয়। এই মামলায় মোট ১১ জন সাক্ষ্যদান করেন। ঘটনার চার বছর পর মঙ্গলবার বিচারক সীতারাম মাঝিকে অ্যাসিড হামলায় দোষী সাব্যস্ত করে বুধবার রায়দান করলেন।