কালনায় ভাগীরথীর চর। নিজস্ব চিত্র।
ভাগীরথীর বুকে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে বেশ কয়েকটি চর। কালনা শহর লাগোয়া চরগুলিতে কখনও পরিযায়ী পাখিদের দেখা মেলে। কখনও নদী-ঘেরা মনোরম পরিবেশে খানিক সময় কাটাতে ইচ্ছা করে। এই ভাবনা থেকে কালনা পুরসভাও ইকো ট্যুরিজ়ম গড়তে উদ্যোগী হয়েছে ওই চরে।
মাস ছয়েক আগে রাজ্যের জীববৈচিত্র্য পর্ষদের কর্তারা এলাকাটি পরিদর্শন করে প্রশংসা করে যান। তবে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করার জন্য এখনও অর্থ অনুমোদিত হয়নি। ১০৮ শিবমন্দির, লালজি মন্দির, কৃষ্ণচন্দ্র মন্দির, মহাপ্রভু মন্দির, দাঁতনকাঠিতলার মসজিদের মতো পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন দেখতে সারা বছরই পর্যটকেরা আসেন। আরও পর্যটক টানতে ভাগীরথীতে জেগে ওঠা চরগুলি ঘিরে কিছু করারও পরিকল্পনা হয়। মাস ছয়েক আগে জীববৈচিত্র্য পর্ষদের চেয়ারম্যান হিমাদ্রীশেখর দেবনাথ, কালনার পুরপ্রধান আনন্দ দত্ত, উপ-পুরপ্রধান তপন পোড়েলরা লঞ্চে ভাগীরথী ঘুরে চরগুলির পরিস্থিতি দেখেন। প্রাকৃতিক পরিবেশ নজর কাড়ে জীববৈচিত্র্য পর্ষদের কর্তাদের। চরগুলিতে ছোট ছোট কটেজ করে পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা করা যেতে পারে বলে মতপ্রকাশ করেন তাঁরা।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পুরসভার কর্তারা কলকাতায় গিয়ে এই বিষয়ে জীববৈচিত্র্য পর্ষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি পরামর্শ দেন, বন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ার।উপ-পুরপ্রধান বলেন, ‘‘প্রকল্পটি যাতে বাস্তবায়িত হয় সেই ব্যাপারে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে জীববৈচিত্র্য পর্ষদ। সংস্থার চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, রাজ্যের কোনও পুরসভার পাশে এমন পরিবেশ নেই। ওঁর পরামর্শ মেনে বন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ার জন্য খুব তাড়াতাড়ি পুরবোর্ডের বৈঠক করা হবে।’’ গ্রিন সিটি প্রকল্পেও পুর এলাকার তিন এবং পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে ভাগীরথীর চরে একটি পার্ক তৈরির কথা ভাবা হয়েছে। এই ব্যাপারে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অনুমতি নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।