কাউন্সিলরের জামিন চেয়ে বিচারককে ফোনে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কাটোয়ায়। সঙ্গে নির্দেশ মানলে উপঢৌকনেরও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এসএমএস করে। শনিবার কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে এসিজেএম সৌমেন সরকার জানিয়েছেন, কাটোয়ার তৃণমূল কাউন্সিলর জঙ্গল শেখকে জামিনে মুক্ত করার জন্য ওই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পুলিশের দাবি, যে নম্বর থেকে ফোন এসেছিল তা চিহ্নিত করা গিয়েছে। এর মধ্যেই সোমবার জঙ্গল শেখকে আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দেন ওই বিচারক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দায়ের করা অভিযোগে (কেস নং ৩৭৭/১৬) বিচারক জানিয়েছেন, শুক্রবার একটি অজ্ঞাত নম্বর থেকে এসএমএস করে জঙ্গল শেখকে জামিন দেওয়ার জন্য দশ লক্ষ টাকার ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়। পরে আবার একটি অন্য অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোন করে জামিন না দিলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। কীভাবে টাকা দেওয়া হবে এসএমএসের মাধ্যমে তা জানানো হবে বলেও উল্লেখ করা হয় ফোনে। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরে ৬৬এ তথ্যপ্রযুক্তি ধারায় তদন্ত শুরু করে কাটোয়া থানার পুলিশ। তদন্তভার দেওয়া হয় মাধবচন্দ্র দাসকে। পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার বিকাল পর্যন্ত ওই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার না হলেও অভিযুক্ত নম্বরদুটি চিহ্নিত করা হয়েছে। নম্বরদুটি কার তার খোঁজও শুরু করেছে পুলিশ। যদিও বিষয়টি নিয়ে কিছু জানাতে চাননি বিচারক সৌমেন সরকার। দিন পঁচিশেক আগে খাজুরডিহির নতুন হাটতলায় বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের অনুগামী বলে পরিচিত বছর চব্বিশের সাবির শেখ খুনে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওই কাউন্সিলর-সহ ১৮ জনের নামে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন সাবিরের মা ফেরোজা বিবি। অভিযোগের ভিত্তিতে ষোলো দিনের মাথায় গ্রেফতার করা হয় জঙ্গলকে। দিন পাঁচেক আগে মাঠপাড়ায় ওই কাউন্সিলরের বাড়ি থেকে একটি পাইপগান ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিশ। আটক করা হয় একটি সাদা গাড়িও।