শহরে রয়েছে প্রায় ৩০টি বড় নার্সিংহোম। বেশ কয়েকটির বিরুদ্ধে অভিযোগ, কোনও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই ব্যবসা চালানো হচ্ছে। প্রশাসনের সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই গোপনে দুর্গাপুরের বিভিন্ন নার্সিংহোম সম্পর্কে অনিয়মের বহু তথ্য হাতে এসেছে। দিন কয়েক আগেই বর্ধমান শহরের নার্সিংহোমগুলিতে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের যৌথ দল। অনিয়ম দেখে বন্ধ করে দেওয়া হয় দু’টি নার্সিংহোম। এ বার সেই সূত্রেই দুর্গাপুরেও অভিযান চালানো হবে বলে মহকুমা প্রশাসন সূত্রের খবর।
স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের দাবি, দুর্গাপুরের বেশ কয়েকটি নার্সিংহোম ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিসমেন্ট আইন মেনে কাজ করছে না। শুধু তাই নয়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রোগীদের রাখার অভিযোগও রয়েছে। প্রতি ১০ জন রোগী পিছু এক জন করে সর্বক্ষণের চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও শহরের নার্সিংহোমগুলি সেই নিয়ম মানছে না। এ ছাড়া রোগীর সংখ্যা অনুপাতে পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী নেই বলেও অভিযোগ। তা ছাড়া দমকল ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশও অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে। আরও অভিযোগ, রোগনির্ণয় কেন্দ্রের অনুমোদন নিয়ে অনেকে নার্সিংহোম ফেঁদে বসেছেন। যদিও বিভিন্ন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবি, পরিকাঠামো যথাযথ না হলে স্বাস্থ্য দফতরের অনুমোদন মেলে না। সব নিয়ম ও আইন মেনেই নার্সিংহোম চালানো হয়।
তবে দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা বলেন, ‘‘দ্রুত বিভিন্ন নার্সিংহোমে অভিযান চালানো হবে। কোনও অনিয়ম ধরা পড়লে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।’’