ফলের পসরা। দুর্গাপুরের সেন মার্কেটের সামনে। নিজস্ব চিত্র
দুর্গাপুজোর আগে থেকেই আনাজের বাজারদর ঊর্ধ্বমুখী। তা নামার কোনও চিহ্ন নেই। কাল, শুক্রবার লক্ষ্মীপুজো। তার আগে বুধবার থেকে দুর্গাপুরের বিভিন্ন বাজারে ফলের দরও চড়তে শুরু করেছে।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুজোর দু’-তিন দিন আগে থেকে বাজারের দাম চড়তে শুরু করে। সে ধারা এখনও বজায় রয়েছে। সিটি সেন্টারের ডেলি মার্কেটের আনাজ ব্যবসায়ী লালমোহন দত্ত বলেন, ‘‘লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে বাজার তেমন চড়েনি। দুর্গাপুজোর আগে থেকেই আনাজের দাম বেড়েছে।’’ ব্যবসায়ীরা জানান, দুর্গাপুরের বিভিন্ন বাজারে জ্যোতি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজি দরে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে। পটল, বেগুনের দাম কেজি প্রতি ৫০ টাকা। কুমড়ো প্রতি কেজি ২৫ টাকা, টোম্যাটো প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে ফুলকপির কদর থাকে সবচেয়ে বেশি। ফুলকপি এক-একটি বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকায়। অনেকে লক্ষ্মীপুজোয় এঁচড় কেনেন। এঁচড়ের দাম প্রতি কেজি ১৫০-২০০ টাকা।
এই পরিস্থিতিতে নাভিশ্বাস ক্রেতার। বেনাচিতি বাজারে বুধবার কেনাকাটা করতে এসেছিলেন ডিএসপি টাউনশিপের বিপ্লব রায়। তিনি বলেন, ‘‘ভেবেছিলাম, এক দিন আগে বাজার সেরে নিলে দর কিছুটা কম হবে। তা হল না। বাজার বেশ চড়া।’’ তবে বেনাচিতি বাজারের আনাজ বিক্রেতা সুবোধ কর্মকার বলেন, ‘‘আমরা পাইকারি বাজারে যেমন কিনছি, সে দরে বিক্রি করছি।’’
এ দিকে, ফলের বাজার ঘুরে জানা গিয়েছে, কলা বাদে ফলের দামও বেড়েছে গত কয়েকদিনে। বেনাচিতি বাজারের ফল বিক্রেতা নকুল মাহাতো জানান, কলার আমদানি ভাল হওয়ায় দাম কম, ২০-৩০ টাকা ডজন। কিন্তু আমদানি কম হওয়ায় বাতাবি লেবু এ বার বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। অন্য বার কেজি প্রতি এই দর থাকে ১০-১৫ টাকা। এ ছাড়া, আপেল কেজি প্রতি ৮০-১০০ টাকা, পানিফল ৬০ টাকা, নাসপাতি ১৫০-২০০ টাকা, কমলালেবু ৬০ টাকা, পেঁপে ৫০-৬০ টাকা, পেয়ারা ৬০ টাকা, শসা ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। নারকেল বিক্রি হচ্ছে এক-একটি ৪০-৫০ টাকায়। একটি গোটা আখের দর ৩০ টাকা।
মামরা বাজারে ফলের বাজার করতে এসেছিলেন বন্দনা পাইন। তিনি বলেন, ‘‘বুধবারেই ফলের বাজার আকাশ ছোঁয়া। বৃহস্পতিবার আরও বাড়বে বলে মনে হচ্ছে।’’ ফল ব্যবসায়ীরা অবশ্য জানিয়েছেন, ফলের দাম আর বাড়ার তেমন সম্ভাবনা নেই। যা বাড়ার বেড়ে গিয়েছে বুধবার থেকেই।