Covid 19

পশ্চিম বর্ধমানে টিকা সংরক্ষণের জন্য বিশেষ পরিকাঠামো তৈরি, এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা

পশ্চিম বর্ধমান জেলায় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১৬০০০ স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, প্রথম পর্যায়ে এই স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেওয়া হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ ১৭:২৮
Share:

পশ্চিম বর্ধমান জেলায় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১৬০০০ স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, প্রথম পর্যায়ে এই স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেওয়া হবে। নিজস্ব চিত্র

কোভিডের টিকা হয়ত আর কয়েক মাস পরেই বাজারে আসবে। আর সেই এই কথা মাথায় রেখেই রাজ্যের প্রায় সমস্ত জায়গাতেই টিকা রাখার জায়গা ঠিক করা শুরু হয়েছে। বাদ পড়েনি পশ্চিম বর্ধমানও। ওই জেলায় ইতিমধ্যেই ২৮টি ‘কোল্ড চেইন পয়েন্ট’ রয়েছে। যেখানে টিকাগুলি রাখা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

আসানসোলের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের একটি কক্ষ নেওয়া হয়েছে, যেখানে করা হবে ‘ওয়াক ইন কুলার’। টিকাগুলি প্রথম পর্যায়ে এই কক্ষে রাখা হবে। তার জন্য ইতিমধ্যেই মেঝেতে মোটা করে এক ঢালাই দেওয়া হয়েছে। তার উপরে একটি ঘর তৈরি করা হবে। যে ঘরের তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত রাখতে হতে পারে। ঠান্ডা ঘরের থেকে যে গরম হাওয়া বেরোবে, সেটি অত্যধিক গরম হওয়ায় বড় এগজস্ট ফ্যান লাগানো হচ্ছে। বড় বড় জানালা রাখা হয়েছে। অত্যাধুনিক জেনেটার বসানো হচ্ছে।

পশ্চিম বর্ধমান জেলায় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১৬০০০ স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, প্রথম পর্যায়ে এই স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেওয়া হবে। তারপর যে ভাবে নির্দেশ আসবে, স্বাস্থ্য দফতর থেকে, সে ভাবেই ধাপে ধাপে সাধারণ মানুষকে দেওয়া হবে টিকা। ইতিমধ্যেই একটি পোর্টাল তৈরি করে সেখানে টিকার তথ্য নথিভুক্ত করে রাখা হচ্ছে।

Advertisement

যাঁরা টিকা নেবেন, তাঁদের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা, দেখা হবে। যদি হয় তা কী ভাবে তা মোকাবিলা করা হবে এই সমস্ত বিষয়ে ইতিমধ্যেই দফায় দফায় আলোচনা চলছে স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে।

পশ্চিম বর্ধমান জেলার করোনা পরিস্থিতি আগের থেকে অপেক্ষাকৃত ভাল অবস্থায় রয়েছে। সেখানে একটি বেসরকারি হাসপাতাল কোভিড চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছিল। যেখানে এখন শয্যা সংখ্যা কমিয়ে ২০০ করা হয়েছে।। কোভিড রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত কমছে, তাই ৬০০ থেকে কমিয়ে ২০০ শয্যা করা হচ্ছে। যার মধ্যে এখন ৬০-৭০ জন আক্রান্ত ভর্তির থাকার খবর পাওয়া যাচ্ছে।

আসানসোল জেলা হাসপাতাল ও দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল মিলিয়ে আপাতত ৬০টি শয্যার হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে জানুয়ারিতেই তৈরি হয়ে যাবে এই পরিকাঠামো। তারপর টিকা জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে চলে এলে, স্বাস্থ্যকর্মীদের সেরকম আর কোনো অসুবিধা হবে না। পাশাপাশি এই জেলায় যে মেডিকেল কলেজগুলি রয়েছে, সেই কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের এই টিকাকরণ প্রক্রিয়ার কাজে লাগানো হতে পারে বলে জানা গেছে।

এই বিষয়ে জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি জানিয়েছেন, তাঁরা প্রস্তুত। যেমন নির্দেশ আসবে, তেমনি তাঁদের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবেন। জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক অশ্বিনীকুমার মাজি বলেন, যে পরিকাঠামো রয়েছে এই জেলায় তাতে কোনওরকম কোনো সমস্যা হবে না।

আরও পড়ুন: শহরে বাড়ছে শিশুশ্রম? বড়দিনের আগে ভিনরাজ্যের আরও পাঁচ শিশু উদ্ধার

আরও পড়ুন: আমন্ত্রণ পাইনি বললেন মমতা, বিজেপি-র অভিযোগ রবীন্দ্র অবমাননার

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement