সুযোগ বুঝে কয়লা লুট করছিলেন স্থানীয়রা। নিজস্ব চিত্র।
নাকা চেকিং চলছিল ২ নম্বর জাতীয় সড়কে। তাতেই উদ্ধার প্রচুর বেআইনি কয়লা। আটক হওয়া বেশ কয়েকটি ট্রাকে সব মিলিয়ে প্রায় ২৩ মেট্রিক টন কয়লা ছিল বলে পুলিশের দাবি। অন্য দিকে, পুলিশের তৎপরতায় শ্রীপুর এলাকা থেকে উদ্ধার হয় ৩০ মেট্রিক টন কয়লা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লরিতে করে এই বেআইনি কয়লা পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। নাকা চেকিং চলছে দেখে ভয়ে রাস্তার পাশে ট্রাক ফেলে পালিয়ে যান চালক। এর পরেই সেই কয়লা লুট করার অভিযোগ ওঠে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে জামুড়িয়া থানার পুলিশ গিয়ে লুট আটকে রাস্তায় পড়ে থাকা কয়লা ইসিএলের হাতে তুলে দেয়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কী ভাবে এত বেআইনি কয়লা এল, কোন উদ্দেশ্যে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সবটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।।
অন্য দিকে, রানিগঞ্জ থানার পুলিশ রানিসায়র মোড়ে নাকা চেকিংয়ের সময় কয়লা ভর্তি ট্রাক ধরে ফেলে। গত কয়েক দিন ধরে পুলিশের তৎপরতা বেড়ে গিয়েছে। এক দিকে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করছে। অন্য দিকে, সিআইডিও সক্রিয় হয়েছে। বেশ কয়েকটি থানার ওসিকে তলব করা হয়েছে। কয়েক জন রাজনৈতিক নেতাদেরও তলব করা হয়েছে।