Humayun kabir

Humayun Kabir: ক্ষুদ্রশিল্পে ‘বিকাশের’ দাবি মন্ত্রীর, তোপ বিরোধীর

মেলায় হুমায়ুন ছাড়াও, ছিলেন দুর্গাপুরের মেয়র পারিষদ (শিক্ষা) অঙ্কিতা চৌধুরী। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি আইটিআই কলেজ এই মেলায় যোগ দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২২ ০৫:৪২
Share:

দুর্গাপুরের মুচিপাড়ায় আয়োজিত ‘জব ফেয়ার’-এ। নিজস্ব চিত্র।

রাজ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ‘ব্যাপক বিকাশ’ হয়েছে বলে দাবি করলেন রাজ্যের কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী হুমায়ুন কবির। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের মুচিপাড়ার সরকারি আইটিআই কলেজে ‘জব ফেয়ার’-এ এসে এমন দাবি করেন হুমায়ুন। যদিও সে মন্তব্যের বিরোধিতা করেছে বিরোধীরা।

Advertisement

ওই মেলায় হুমায়ুন ছাড়াও, ছিলেন দুর্গাপুরের মেয়র পারিষদ (শিক্ষা) অঙ্কিতা চৌধুরী প্রমুখ। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি আইটিআই কলেজ এই মেলায় যোগ দেয়। মূলত, আইটিআই, পলিটেকনিক এবং ‘পশ্চিমবঙ্গ সোসাইটি ফর স্কিল ডেভলপমেন্ট’ (পিবিএসএসডি)-এর প্রশিক্ষিতদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার জন্যই এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। দুর্গাপুরের আইটিআই-এর ‘প্লেসমেন্ট সেল’-এর আধিকারিক পীযূষকান্তি রায় জানান, সারা রাজ্য থেকে প্রায় পাঁচ হাজার পড়ুয়া মেলায় যোগ দিয়েছেন। যাঁদের মধ্যে প্রায় তিন হাজার জনের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

মেলায় যোগ দিয়েই হুমায়ুন দাবি করেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিসভা গঠনের সময়েই জানিয়েছিলেন, ছেলে-মেয়েদের কারিগরি প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার ব্যবস্থার পাশাপাশি, তাঁরা যাতে কাজ পান, সে জন্যও পদক্ষেপ করতে হবে। তাই এমন মেলার আয়োজন করা হয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ব্যাপক বিকাশ হয়েছে রাজ্যে। বৃহৎ শিল্পও আসবে।” পাশাপাশি, তিনি ‘বন্‌ধ-সংস্কৃতি’র জন্য বামেদের রাজ্যের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে বলেও দাবি করেন। সে সঙ্গে তিনি এ-ও বলেন, “খারাপ লাগে, বিধানসভায় এক জনও প্রতিনিধি নেই (বামেদের)।” সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, “চপ, বোমার শিল্পকে মন্ত্রী হয়তো শিল্প বলছেন। রাজ্যের শিল্প-পরিস্থিতি নতুন করে আর বলার দরকার নেই! আর ভোটে যে দল সন্ত্রাস করে জেতে, তাদের মুখে আমাদের দলের নীতি নিয়ে কোনও কথা শুনছি না।” আর দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, “একের পরে এক শিল্প এ রাজ্যে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেখানে তৃণমূলের নেতার মুখে নতুন শিল্পের কথা কেউ বিশ্বাস করেন না।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement