নতুন জেলার জন্য প্রশাসনিক বিভিন্ন কাজকর্ম প্রায় সারা। এ বার সেই কাজকর্ম যাঁরা করবেন, সেই আমলাদের থাকার জন্য প্রায় ছ’কোটি টাকা ব্যয়ে আবাসন সংস্কার ও তৈরির কাজ শুরু হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। তার জন্য আসানসোলের জমি জরিপের কাজও হয়ে গিয়েছে বলে খবর।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলাশাসক ও অতিরিক্ত জেলাশাসকদের জন্য নতুন চারটি বাংলো তৈরি করা হবে। বর্তমানে অতিরিক্ত জেলাশাসক ও মহকুমাশাসকের বাংলোর মাঝামাঝি সেগুলি হবে বলে খবর। এর জন্য প্রাথমিক খরচ ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা। তবে এগুলি তৈরি করতে প্রায় বছরখানেক সময় লাগবে। তাই আপাতত অস্থায়ী ভাবে বার্নপুরের ইস্কো ও ইসিএল কর্তৃপক্ষের থেকে কয়েকটি সুসজ্জিত বাংলো নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। আসানসোলের অতিরিক্ত জেলাশাসকের আবাসনটি সংস্কার করে তা অস্থায়ী ভাবে জেলাশাসকের আবাসন করা হবে। এ ছাড়া পুরনো কয়েকটি আবাসন প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার করে নতুন জেলার কর্তাদের বাসভবন হিসেবে তৈরিরও পরিকল্পনা রয়েছে।
আসানসোলের কল্যাণপুর স্যাটেলাইট টাউনশিপের বিধানচন্দ্র রায় রোড লাগোয়া এলাকায় নতুন জেলার প্রশাসনিক ভবন তৈরির জন্য প্রায় ১০ একর জায়গাও চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে জেলা সদর কার্যালয়ে এক ছাতার তলায় সব কটি প্রশাসনিক দফতরকে জায়গা দেওয়া হবে বলে জানান মহকুমা প্রশাসনের এক কর্তা।
দফতরগুলির জেলা আধিকারিকেরা ছাড়াও এই ভবনে বসবেন জেলাশাসক ও অতিরিক্ত জেলাশাসকেরা। আধিকারিকেরা জানান, কল্যাণপুরের এডিডিএ ভবনে প্রাথমিক ভাবে নতুন জেলার সদর কার্যালয় তৈরি করার কথা রয়েছে। সেখানে পৌঁছনোর জন্য শহরের জনবহুল এলাকাগুলিতে পথনির্দেশ দেওয়া বোর্ড বসানো হবে। প্রশাসনের এক কর্তার দাবি, আগামী ৭ এপ্রিল দুপুর দু’টোর সময়ে আসানসোলে এসে নতুন জেলার ঘোষণা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে ফেলার তোড়জোড় চলছে। জেলাশাসক ও সদর কার্যালয়ের অস্থায়ী আবাসন ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে।