রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র
পুরসভার ঘরে ঢুকে পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে হেনস্থার অভিযোগ উঠল কাটোয়ায়। বুধবার দুপুরে এই ঘটনায় ছ’জন মহিলাকে থানায় ধরে নিয়ে যায় পুলিশ।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুর দেড়টা নাগাদ পুরপ্রধানের ঘরে বসে কাজ করছিলেন রবীন্দ্রনাথবাবু। সেই সময়ে মেয়ের বিয়ের জন্য টাকা চাওয়ার নামে দুই মহিলা তাঁর ঘরে ঢুকতে চায়। ঢুকতে দেওয়া হলে তারা পুরপ্রধানের পায়ে ধরে টাকা চাইতে শুরু করে। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, ‘‘তখন ব্যস্ত থাকায় ওদের বলি বিকালে আসতে বলি। কিন্তু ওরা হাত-পা ধরে টানাটানি শুরু করে। ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি আরও দু’জন মহিলা জুটে গিয়েছে। একতলায় আরও দুই মহিলা একই রকম ভাবে টানাটানি করতে থাকে।’’
জনা ছয়েক অপরিচিত মহিলার এমন আচরণে ও তাদের মোবাইলে বারবার ফোন আসতে থাকায় পুরপ্রধানের সন্দেহ হয়। অভিযোগ, কাউন্সিলর ও পুরসভার কর্মীরা ওই মহিলাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা নানা অসংলগ্ন উত্তর দেয়। রবীন্দ্রনাথবাবু জানান, প্রথমে মহিলারা দাবি করে, তাদের বাড়ি ডোমপাড়ায়। পরে জানায়, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি। কিন্তু ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিনু মণ্ডল তাদের চিনতে পারেননি। এর পরে কখনও নবদ্বীপ, কখনও ব্যান্ডেল, কখনও কাঁকিনাড়ায় বাড়ি বলে দাবি করতে থাকে ওই ছ’জন। থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ মহিলাদের ধরে নিয়ে যায়।
এই ঘটনার পরে স্টেশনবাজারে দলীয় কার্যালয়ে যানন রবীন্দ্রনাথবাবু। তাঁর অভিযোগ, ‘‘মাস আটেক আগে একটি খবর পেয়েছিলাম, আমার উপরে হামলা হতে পারে। তখন থেকে দু’জন মহিলা নিরাপত্তারক্ষী দেয় প্রশাসন।’’ তবে ভোটের মুখে সপ্তাহখানেক আগে থেকে র্যাফের ওই দুই মহিলা রক্ষী নেই। আপাতত দু’জন নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন বিধায়কের। সম্প্রতি নদিয়ায় বিধায়ক খুন, বজবজে কাউন্সিলরের উপরে হামলার মতো ঘটনার পরে এ দিন পুরসভায় ঢুকে রবীন্দ্রনাথবাবুকে হেনস্থার ঘটনায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে কাটোয়ায়। তবে বুধবার রাত পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি রবীন্দ্রনাথবাবু।
পুলিশ জানায়, ওই মহিলাদের জেরা করা হচ্ছে। তাদের সঙ্গে আর কেউ ছিল কি না তা জানার জন্য পুরসভার সিসিটিভি ফুটজেও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।