ঘটনাস্থল। নিজস্ব চিত্র
খনির পাশেই যন্ত্রাংশ সারানোর ঘর (কামারশাল) থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল এক কর্মীর। অণ্ডালে ইসিএলের কাজোড়া এরিয়ার খাসকাজোড়া কোলিয়ারির ১১ নম্বর পিটের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম দীপক বাউড়ি (৫৫)। বাড়ি পাণ্ডবেশ্বরের পুরনো ব্যাঙ্ক এলাকায়।
খনি সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল ৮টা নাগাদ প্রথম পালিতে কাজে যোগ দিয়েছিলেন খনিকর্মী দীপকবাবু। তিনি ওই কামারশালায় কাজ করতেন। সমরণ বিবি নামে এক কর্মী জানান, কামারশালে বাইরে থেকে তালা লাগানো ছিল। রবিবার সকালে তিনি তালা খুলতেই গলায় গামছা জড়ানো অবস্থায় দীপকবাবুকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন। তাঁর চিৎকারে সহকর্মীরা ছুটে আসেন। খবর দেওয়া হয় খনি কর্তৃপক্ষকে।
এক জন কর্মী ভিতরে রয়েছেন, অথচ তাঁকে কেউ দেখতে পেলেন না কেন? কে বা তালা দিয়েছে? এই প্রশ্ন উঠেছে। খনি কর্তৃপক্ষের দাবি, দীপকবাবু কাজ শেষ করে কামারশালে লুকিয়ে পড়েছিলেন। তাঁকে দেখতে না পেয়ে কতব্যরত কর্মী বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে চলে যান। দীপকবাবুর ছেলে মিলন বাউড়ি বলেন, ‘‘শনিবার সকালে কাজে বের হওয়ার সময়ে বাবা বলে গিয়েছিলেন, তিনি দু’দিন বাড়ি ফিরবেন না। তাই শনিবার রাতে বাড়ি না ফেরায় আমরা খোঁজ করিনি। রবিবার সকালে তাঁর সহকর্মীরা বাড়িতে ফোন করে বাবার মৃত্যুর খবর জানান।’’
এ দিকে, খনিকর্মীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শ্রমিক সংগঠনগুলির নেতৃত্বে রবিবার সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত তাঁর পরিবারের এক জনকে চাকরি দেওয়ার দাবিতে উৎপাদন-সহ সমস্ত কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ দেখান সহকর্মীরা। খনি কর্তৃপক্ষ নিয়ম মেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন।