ঝড়ের তাণ্ডবে উড়ল প্যান্ডেল। —নিজস্ব চিত্র।
কিছু ক্ষণের ঝড়ের তাণ্ডব আর শিলাবৃষ্টিতে লন্ডভন্ড দশা দুর্গাপুর শহরের। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঝড়ের তাণ্ডবে ভাঙল বেশ কিছু গাছপালা। উড়ল গৃহস্থ এবং দোকানঘরের টিনের চাল। মঙ্গলবার হুগলি এবং পশ্চিম মেদিনীপুরেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আচমকা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কয়েক পশলা শিলাবৃষ্টি হয়েছে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার এলাকায়। প্রায় ১০ মিনিট ধরে চলে ঝড়ের দাপট। ঝড়ের দাপটে দুর্গাপুর জংশন মলের সামনের অংশের ছাউনি উড়ে যায়। মল সংলগ্ন বেশ কিছু স্টলের ছাউনিও উড়ে গিয়েছে। দুর্গাপুর শহরের বিভিন্ন ব্যস্ততম রাস্তায় গাছ পড়ে জনজীবন ব্যাহত হয়। খানিক ক্ষণের শিলাবৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে একাধিক এলাকা। শহরের বেশ কিছু এলাকায় প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। জেলা প্রশাসন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় জনজীবন স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে।
মঙ্গলবার বেলা গড়াতেই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। কলকাতার আকাশও মেঘলা। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, চলতি সপ্তাহে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায়। সেই তালিকায় আছে কলকাতাও। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কিছু জেলায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।