আসানসোলের প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মেমারিতে দমকল কেন্দ্রের উদ্বোধন করলেও গুসকরা কথা কিছু বলেননি। এলাকাবাসীর আশা ছিল, জেলাভাগের মঞ্চ থেকে গুসকরার দমকল কেন্দ্র নিয়ে আশার কথা শোনাবেন। তেমনটা না হওয়ায় তাঁরা হতাশ।
গুসকরায় দমকল কেন্দ্র তৈরির দাবি দীর্ঘ দিনের। এ নিয়ে একাধিকবার দমকল দফতরের সঙ্গে পুরসভার চিঠি চালাচালি হয়েছে। পুরসভা থেকে চার নম্বর ওয়ার্ডের তুরুপডাঙা মৌজায় দমকল কেন্দ্র তৈরির জন্য ১ একর ৫ শতক জায়গা চিহ্নিত করা হলেও ওই জায়গা নিয়ে মামলা থাকায় দফতর এগোতে পারছে না বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। যদিও পুরসভা সূত্রের দাবি, জমি-জট সম্প্রতি মেটানো গিয়েছে। পুরপ্রধান বুর্ধেন্দু রায় বলেন, “বর্গাদারের সঙ্গে পুরসভার এ ব্যাপারে একটা চুক্তি করে জমির সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া গিয়েছে।”
গুসকরায় দমকল কেন্দ্র তৈরি হলে পুরসভা এলাকা ছাড়াও আউশগ্রাম ১ ও ২, ভাতার, মঙ্গলকোট এমনকি গলসি এলাকার বিস্তীর্ণ মানুষ উপকৃত হবেন। কারণ এই সব অঞ্চলের নিকটবর্তী দমকল কেন্দ্র ভাতার অথবা বর্ধমান অন্তত ৩৫/৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বর্ধমান থেকে আসতে গেলে মাঝে তালিতের গেটে আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এই এলাকায় দমকল কেন্দ্র খুব জরুরি বলে দাবি এলাকাবাসীর। এই আবহে মেমারিতে দমকল কেন্দ্রের উদ্বোধন হওয়ায় গুসকরার দাবি আরও জোরদার হল বলেই মত অনেকের। আউশগ্রাম ১ এর বিডিও চিত্তজিৎ বসু জানান, এই এলাকার বিস্তীর্ণ জায়গা শীতের পর থেকেই শুকিয়ে যায়। ফলে আগুন লাগলে বড় ধরণের বিপদের সম্ভাবনাও থাকছে। তাঁর কথায়, ‘‘সে আশঙ্কা থেকে এলাকায় দমকল কেন্দ্র তৈরির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।”