এই সাইকেল আনতেই গাড়ি ভাড়া দিতে হয়েছে, জানায় স্কুল। নিজস্ব চিত্র
সবুজসাথী প্রকল্পের সাইকেল বিতরণের সময়ে পড়ুয়াদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিয়োগ উঠল কুলটির মিঠানি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে। অভিভাবকেরা অভিযোগ করেন, প্রত্যেক পড়ুয়ার কাছে ৪০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। সেই টাকা ফেরতের দাবি তুলেছেন তাঁরা। জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পড়ুয়াদের টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ১৯৮ জন পড়ুয়াকে সাইকেল দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, যারা ৪০ টাকা আনেনি তারা সাইকেল পায়নি। পরে তাদের অভিভাবকেরা টাকা নিয়ে এসে সাইকেল নিয়ে গিয়েছেন। এই খবর চাউর হতেই এক দল অভিভাবক স্কুলে এসে ক্ষোভ জানান। তাঁদের দাবি, কোনও ভাবেই সরকারি প্রকল্পের সাইকেলের বিনিময়ে টাকা নেওয়া যাবে না।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক বৃন্দাবনচন্দ্র পাল পড়ুয়াদের কাছে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, আসানসোলের পোলো মাঠ থেকে ১৯৮টি সাইকেল আনতে প্রায় আট হাজার টাকা গাড়ি ভাড়া লেগেছে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘স্কুলের তহবিল থেকে এই টাকা খরচ করার অধিকার আমার নেই। অন্য কোনও ভাবে টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়। বাধ্য হয়ে, পড়ুয়াদের কাছ থেকে গাড়ি ভাড়া বাবদ ৪০ টাকা করে নিতে হয়েছে।’’
পশ্চিম বর্ধমান জেলা স্কুল পরিদর্শক অজয় পাল অবশ্য বলেন, ‘‘কোনও ভাবেই সাইকেলের জন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া যাবে না। অবিলম্বে টাকা ফেরত দিতে হবে।’’ সেক্ষেত্রে সাইকেল আনার জন্য গাড়ি ভাড়া স্কুল কর্তৃপক্ষ কী ভাবে মেটাবেন। অজয়বাবু বলেন, ‘‘তা জানি না। তবে পড়ুয়াদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া যাবে না।’’ অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রশান্ত মণ্ডলও জানান, অবিলম্বে পড়ুয়াদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দিতে হবে। জেলা স্কুল পরিদর্শককে তেমনই নিদের্শ দেওয়া হয়েছে।
তবে স্কুলে-স্কুলে সাইকেল পৌঁছনোর গাড়ি ভাড়া নিয়ে একটি সমস্যা রয়েছে বলে জানান ওয়েস্ট বেঙ্গল তৃণমূল সেকেন্ডারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সভাপতি রাজীব মুখোপাধ্যায়। তিনি জানান, স্কুলে-স্কুলে প্রশাসনের তরফে যাতে সাইকেলগুলি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়, সে ব্যাপারে তিনি উদ্যোগী হবেন।