বাঁধ ভাঙল অজয়ের

সারারাত বাঁধ পাহারা দিয়েও ঠেকানো গেল না বিপদ। মঙ্গলবার সকালে অজয়ের বাঁধ ভাঙা জলে ডুবে গেল কাটোয়ার বেশ কয়েকটি গ্রাম। বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনকে বারবার সতর্ক করা হয়েছে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৫ ০১:৫২
Share:

ফুঁসছে অজয়। কেতুগ্রামের চরখি গ্রামে বাঁধের ফাটল মেরামতিতে ব্যস্ত গ্রামবাসীরা। সোমবার ছবিটি তুলেছেন অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়।

সারারাত বাঁধ পাহারা দিয়েও ঠেকানো গেল না বিপদ। মঙ্গলবার সকালে অজয়ের বাঁধ ভাঙা জলে ডুবে গেল কাটোয়ার বেশ কয়েকটি গ্রাম। বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনকে বারবার সতর্ক করা হয়েছে। তারপরেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কাটোয়ার রাজুয়া গ্রামের উত্তর দিকে বাঁধটির প্রায় ১০০ মিটার ভেঙে গিয়েছে। প্লাবিত হয়েছে রাজুয়া, যতীনপুর, আঙারপুর গ্রাম। তবে জলের তোড়ে ফাটল আরও বাড়ছে বলে বাসিন্দাদের দাবি। রাজুয়া গ্রামের রবি শেখের দাবি, ‘‘বাঁধে ফাটল দেখেই স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে জানিয়েছি। কোনও সাহায্য পাইনি।’’ আপাতত বালির বস্তা দিয়ে বাঁধ দিয়ে জলের তোড় সামলানোর চেষ্টা করছেন বাসিন্দারা। আর কিছুক্ষণ পরপরই গ্রামের ছেলেরা গাছে উঠে দেখছে জল কতটা বাড়ল। রাজুয়ার রায়হান শেখ, পল্টু আনসারি, সাজাহান শেখরা জানান, বিস্তীর্ণ এলাকার জমি ডুবে গিয়েছে। ৮-১০ টা বাড়িও ভেঙেছে। যতীনপুরের পরিস্থিতিও আতঙ্কের। ঘরবাড়িতে জল ঢুকে যাওয়ায় গ্রামবাসীরা গ্রামের প্রাথমিক স্কুলটিতে ঠাঁই নিয়েছেন। অনেকে আবার গৃহস্থালীর টুকিটাকি নিয়ে উঠে পড়েছেন ছাদে। গ্রামেরই বাসিন্দা রাসবিহারী ঘোষের দাবি, বাঁধ না ভাঙলে বন্যা হতো না। তিনি বলেন, ‘‘গ্রামের তিনটে পুকুর ভেসে গিয়েছে। আমার মতো মৎস্যজীবীদের কি হবে জানি না।’’ আঙারপুরের বাসিন্দারা আবার গ্রাম ছেড়ে কাটোয়া-বোলপুর রাস্তার কাশীরামদাস সেতুর উপর আশ্রয় নিয়েছেন। রুমকি দাস, পিঙ্কি দাসেরা জানান, ‘‘সারা রাত বাঁধ ভাঙার আতঙ্কে ঘুমতো পারিনি। সকালে পরিস্থিতি দেখে ঘর ছেড়ে ছেলেমেয়েকে নিয়ে এখানে উঠে এসেছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement