পাল্টি: জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাস। ছড়িয়ে পণ্যের বস্তা। নিজস্ব চিত্র
আবার বাস দুর্ঘটনা ২ নম্বর জাতীয় সড়কে। ছাদে অতিরিক্ত পণ্য বোঝাই করে যাওয়ার সময়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোমবার গভীর রাতে কাঁকসার বিরুডিহার কাছে উল্টে যায় একটি বাস। জখম হয়েছেন জনা দশেক যাত্রী। বাসটি আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার ধর্মতলা থেকে ২৮ জন যাত্রী নিয়ে বিহারের ভোজপুর জেলার পিরোয় যাচ্ছিল বাসটি। ছাদে ছিল প্রচুর পণ্য। রাত ২টো নাগাদ বিরুডিহার কাছে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার উপরেই উল্টে যায়। পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, বাসটির গতি খুব বেশি থাকায় দুর্ঘটনার পরেও সেটি বেশ কিছুটা এগিয়ে যায়। পুলিশ যাত্রীদের উদ্ধার করে রাজবাঁধের একটি বেসরকারি হাসপাতাল ও দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি পাঁচ জনের মধ্যে এক মহিলার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বেপরোয়া গতি ও ছাদে অতিরিক্ত পণ্য পরিবহণের অভিযোগ উঠেছে। বাসটির ছাদে বস্তায় ছিল ডাব, নারকেল-সহ নানা সামগ্রী। সেগুলি কলকাতা থেকেই তোলা হয়। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ছাদে অতিরিক্ত পণ্য থাকায় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। শুধু এই বাসটি নয়, সন্ধ্যার পরে বিহার, ঝাড়খণ্ডগামী অনেক বাসের ছাদেই প্রচুর পণ্য তোলা হয়। মাস দুয়েক আগেই বুদবুদের সাধুডাঙার কাছে এমনই একটি বাস দুর্ঘটনায় পড়ে।
জাতীয় সড়ক ধরে বেপরোয়া ভাবে বাস ও গাড়ি চলাচলও বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে, দুর্ঘটনারও বিরাম নেই। দিন পনেরো আগে রাজবাঁধে দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময়ে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাককে ধাক্কা মেরে নয়ানজুলিতে পড়ে যায়। ২৫ জন আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাসের গতি নিয়ন্ত্রণে কোনও ব্যবস্থা নেয় না পুলিশ। বাসের ছাদে যাত্রী চাপানো কিছুটা কমলেও মাত্রাতিরিক্ত পণ্য তোলা বন্ধ হয়নি। কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
দুর্গাপুর মহকুমা পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসের ছাদে পণ্য তোলা হলেও তার উচ্চতা এক ফুটের বেশি করা যায় না। দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘কর্মীর অভাবে সব সময় নজরদারি করা যায় না। তবে মাঝে-মধ্যেই পুলিশকে নিয়ে অভিযান চালানো হয়।’’ কমিশনারেটের এক কর্তা জানান, বিভিন্ন সময়ে রাস্তায় নজরদারি চালানো হচ্ছে। কয়েকটি জায়গায় ওয়াচ টাওয়ার করে গাড়ির গতিতে নজরদারি করা হবে।