উদ্ধার হওয়া অস্ত্র। —নিজস্ব চিত্র।
এলাকায় রয়েছে কাটোয়া সংশোধনাগার, ম্যাজিস্ট্রেটের আবাসন, ছাত্রীদের হস্টেল। অথচ এমন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় শুক্রবার গভীর রাতে কয়েক জন অজ্ঞাতপরিচয় যুবককে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেল। খবর পেয়ে আচমকা অভিযান চালিয়ে কাটোয়া থানার পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্র-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, ওই দলটি ডাকাতি করার মতলবে জড়ো হয়। বিচারকদের আবাসনের সামনে এমন ঘটনা ঘটায় এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে সরব হয়েছেন বাসিন্দাদের একাংশ।
ঠিক কী হয়েছিল ওই রাতে? পুলিশের দাবি, রাত ১২টা নাগাদ গোপন সূত্রে আচমকা খবর মেলে বারো জনের একটি দল হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে জেলখানা মোড়ে ম্যাজিস্ট্রেটের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়েছে। এরপরেই পুলিশ এলাকায় অভিযান চালায়। পুলিশ দেখেই সাত জন চম্পট দেয় বলে জানা গিয়েছে। ধরা পড়ে হরিপুরের বাসিন্দা ওসমান শেখ, কেশিয়ারির কালো শেখ, জাভেদ খান, জামের শেখ ও শাহিদুল শেখ। পুলিশের দাবি, ধৃতদের কাছ থেকে একটি পাইপগান, এক রাউন্ড গুলি, তিনটি ভোজালি ও একটি ছুরি উদ্ধার হয়েছে। শনিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে শাহিদুলের চার দিনের পুলিশি হেফাজত ও বাকিদের ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এমন ঘটনার খবর চাউর হতেই এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাসিন্দাদের একাংশ। প্রশাসনের সূত্রে খবর, ওই আবাসনে সাত জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকেন। কাছেই রয়েছে মহকুমাশাসক, পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারের বাংলো। ঢিলছোঁড়া দূরত্বে রয়েছে কলেজের ছাত্রীদের হস্টেল। বাসিন্দাদের দাবি, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলির কারণেই এলাকায় দিনভর পুলিশি নিরাপত্তা প্রয়োজন।
যদিও বাসিন্দাদের দাবি, ম্যাজিস্ট্রেটের বাসভবনে রয়েছেন মাত্র দু’জন পুলিশকর্মী। রাতে পুলিশের টহলদারি ভ্যানকেও এলাকায় নামমাত্র দেখা যায় বলে অভিযোগ। গভীর রাতে প্রায়শই এলাকায় অজ্ঞাতপরিচয় যুবকদের আনাগোনা দেখা যায় বলেও অভিযোগ। এ দিনের ঘটনার প্রসঙ্গে এসডিপিও শচীন মাঁকড়ের যদিও আশ্বাস, ‘‘এলাকায় পুলিশি নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হবে।’