Scam

যুগ্ম বিডিও পরিচয়ে অনলাইনে ‘প্রতারণা’

দু’দফায় প্রায় ছ’হাজার টাকা প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ কাঁকসার বনকাটি পঞ্চায়েতের তেলিপাড়া গ্রামে এক আশাকর্মীর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:২৬
Share:

অনলাইনে প্রতারণার অভিযোগ। — প্রতীকী চিত্র।

যুগ্ম বিডিও পরিচয় দিয়ে অনলাইনে প্রতারণার অভিযোগ উঠল কাঁকসায়। দু’দফায় প্রায় ছ’হাজার টাকা প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ কাঁকসার বনকাটি পঞ্চায়েতের তেলিপাড়া গ্রামে এক আশাকর্মীর।

Advertisement

অভিযোগ, ২৯ ডিসেম্বর ওই গ্রামের এক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী শম্পা সাহার কাছে একটি ফোন আসে। শম্পা জানান, ফোনে নিজেকে কাঁকসার যুগ্ম বিডিও পরিচয় দিয়ে কথা বলেন এক জন। তাঁর কথায়, ‘‘ওই ব্যক্তি জানান, এলাকায় সরকারি চাকরির কিছু পদ রয়েছে, যা তাঁর মাধ্যমে হবে। এলাকায় দুঃস্থ মেধাবী ছেলেমেয়ে থাকলে যোগাযোগ করার কথা বলে ওই ব্যক্তি।’’ শম্পা জানান, তিনি এলাকার আশাকর্মী বর্ণালী রায় গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। বর্ণালীর ছেলে আসানসোলে কম্পিউটার নিয়ে পড়াশোনা করছেন। বর্ণালী বিষয়টি তাঁর ছেলেকে জানান। তাঁর ছেলে ওই নম্বরে ফোন করেন।

বর্ণালীর অভিযোগ, ছেলেকে ওই ব্যক্তি প্রথমে তাঁকে জানান, এলাকায় একটি সরকারি চাকরি রয়েছে। তার জন্য প্রথমে ফর্ম পূরণের তিন হাজার টাকা দিতে হবে। তিনি অনলাইনে সেই টাকা পাঠিয়ে দেন। এর কিছু ক্ষণ পরে আবার ওই ব্যক্তি ফোন করে জানায়, শিলিগুড়িতে প্রশিক্ষণ হবে, তার জন্য আরও তিন হাজার টাকা লাগবে। তা-ও তিনি পাঠিয়ে দেন। বর্ণালীর কথায়, ‘‘প্রশাসনের লোক ভেবে আমাদের কোনও সন্দেহ হয়নি। এর পরে ওই ব্যক্তি ছেলেকে ফোন করে জানায়, একটি ব্যাঙ্কের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার পদে চাকরির সুযোগ রয়েছে। তার জন্য আরও তিন হাজার টাকা পাঠাতে হবে। এমনকি, ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় কাঁকসা ব্লক অফিসে গিয়ে চাকরির কাগজপত্রও নিয়ে আসতে বলে।’’ তিনি জানান, বার বার টাকা চাওয়ায়, তৃতীয় বার আর কোনও টাকা পাঠাননি তাঁর ছেলে। ৩০ ডিসেম্বর সকালে তাঁরা জানতে পারেন, কাঁকসা ব্লক প্রশাসন থেকে কেউ এমন কোনও ফোন করেননি। তখন তাঁরা বুঝতে পারেন, প্রতারিত হয়েছেন।

Advertisement

বর্ণালী বলেন, ‘‘সামান্য বেতনে সংসার চলে। এ ভাবে প্রতারিত হব, ভাবিনি।’’ সাইবার অপরাধ বিভাগে অনলাইনে অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। বৃহস্পতিবার কাঁকসা থানারও দ্বারস্থ হন তিনি। এসিপি (কাঁকসা) সুমনকুমার জসওয়াল জানান, প্রশাসনের তরফে নিয়মিত মানুষজনকে সচেতন করা হচ্ছে। কোনও সরকারি আধিকারিক পরিচয় দিয়ে কেউ টাকা চাইলে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement