পঞ্চায়েতের শংসাপত্র না পাওয়ার অভিযোগ। প্রতীকী চিত্র
অভিভাবকরা ভোটের সময় বিজেপি-র হয়ে প্রচারে নামায় পাঁচ কিশোরীকে কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় শংসাপত্র দিচ্ছেন না ভাতারের আমারুন ১ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান। বিডিও-র কাছে এমনই অভিযোগ করলেন ওই পঞ্চায়েতেরই ৫ ছাত্রী। যদিও, এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূল পরিচালিত আমারুন ১ নম্বর পঞ্চায়েতের তরফে জানানো হয়েছে, শংসাপত্রের জন্য বার বার তলব করা হলেও ওই ৫ ছাত্রীর অভিভাবকরা দেখাই করছেন না।
সোমবার ভাতারের আমারুন ১ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান দীপক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে বিডিও-র দ্বারস্থ হন ৫ পড়ুয়া। তাঁদের সঙ্গে থাকা এক অভিভাবকের অভিযোগ, ‘‘বিজেপি করায় এই ৫ ছাত্রীকে পঞ্চায়েত প্রধান শংসাপত্র দিচ্ছেন না। তার ফলে কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারছে না ওরা। আমরা বাধ্য হয়েই বিডিও-র কাছে এসেছি।’’
যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য, ‘‘ওই ছাত্রীদের বাড়ির লোকজনই বলেছে, আমাদের কন্যাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি অনুদানের প্রয়োজন নেই। তবুও প্রতিটি ছাত্রীর অভিভাবকদের বলা হয়েছিল পঞ্চায়েত অফিসে দেখা করতে। কারণ অভিভাবকদের ছাড়া নাবালিকা ছাত্রীদের শংসাপত্র দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু তাঁরা আসেননি। ওঁরা এলেই শংসাপত্র পেয়ে যাবেন।’’
এ নিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু বলে, ‘‘এমন হওয়ার কথা নয়। তবে খোঁজ খবর নিয়ে দেখব। ঘটনা সত্যি হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’