দাউদাউ: আসানসোলের মুর্গাসোলে তখন জ্বলছে টায়ারের গুদাম। রবিবার সকালে। নিজস্ব চিত্র
আগুনে ছাই হয়ে গেল আসানসোলের মুর্গাসোলের একটি টায়ারের গুদাম। দমকলের দশটি ইঞ্জিন প্রায় ছ’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বহু টাকার সম্পত্তি নষ্ট হলেও কোনও প্রাণহানি হয়নি বলে জানায় পুলিশ ও দমকল। রবিবার সকালে কী ভাবে ওই গুদামটিতে আগুন লাগল, তা তদন্ত করছে দমকল।
এ দিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ এলাকার কয়েক জন ওই টায়ারের গুদাম থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন। স্থানীয় বাসিন্দা শুভানি সাইকা অভিযোগ করেন, তিনি কয়েক বার দমকলের ১০১ নম্বর ডায়ালে ফোন করেও সাড়া পাননি। তাই ছেলেকে রাহালেনের দমকল কেন্দ্রে খবর দিতে পাঠান। সকল ১০টা নাগাদ দমকলের একটি ইঞ্জিন পৌঁছয়। ততক্ষণে আগুন ভয়াবহ আকার নিয়েছে। রানিগঞ্জ ও দুর্গাপুর থেকে আরও দমকলের ইঞ্জিন আনা হয়। ইস্কো, সিএলডব্লু এবং ডিভিসি থেকেও চারটি ইঞ্জিন আসে। দশটি ইঞ্জিন এক সঙ্গে আগুন নেভানোর কাজ করে। তদারকির জন্য ঘটনাস্থলে ডাকা হয় বীরভূম দমকলের ডিভিশনাল অফিসার নিতাই চট্টরাজকে।
এ দিন কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। আগুন ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হয়। গুদামের একেবারে গা ঘেঁষে কিছু না থাকলেও কিছুটা দূরে কয়েকটি বহুতল ও বসতি রয়েছে। সেখানে যাতে কোনও ভাবে আগুন না পৌঁছয়, প্রশাসন ও দমকলের কর্তারা সেই ব্যবস্থা করেন। ঘটনাস্থলে যান শহরের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি, অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) প্রলয় রায়চৌধুরী ও ডেপুটি পুলিশ কমিশনার অবধেশ পাঠক। আগুন নেভানোর সময় কিছুটা জলের সঙ্কটও দেখা দেয়। পুরসভার তরফে প্রায় দশ ট্যাঙ্কার জল পৌঁছে দেওয়া হয়।
কী ভাবে আগুন লাগল, সেই প্রশ্নে বীরভূম দমকলের ডিভিশনাল অফিসার নিতাই চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এখনও কিছু বোঝা যাচ্ছে না। তদন্ত করে দেখতে হবে।’’ মেয়র বলেন, ‘‘আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা প্রাথমিক কর্তব্য ছিল। দমকল কারণ খতিয়ে দেখছে। আমরা রিপোর্ট পেলে ব্যবস্থা নেব।’’ গুদামটির অন্যতম কর্ণধার রাজু সালুজা জানান, রবিবার দোকান বন্ধ থাকে। আগুন লাগার কারণ তাঁরা বুঝতে পারছেন না।