বেঁকেছে ফ্যান। নিজস্ব চিত্র
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন টোকাটুকিতে বাধা দেওয়ায় ইট ছুড়ে শিক্ষকের মুখ ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কাটোয়ায়। এক শিক্ষিকার সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগও ছিল। সোমবার কাটোয়া কাশীরাম দাস ইনস্টিটিউশন (কেডিআই) স্কুলের ওই ঘটনায় দ্রুত কড়া ব্যবস্থা নিল উচ্চ মাধ্যমিক
শিক্ষা সংসদ। বুধবারই অভিযুক্ত ছাত্রের এই বছরের পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হল।
সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস জানান, আগামী দিনে ওই ছাত্রকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে কিনা তা সংসদের দুর্নীতি বিরোধী কমিটির সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে। মহুয়াদেবী বলেন, ‘‘প্রধান শিক্ষক সে দিনের ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠিয়েছেন। তার ভিত্তিতেই পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এ বার বিষয়টি দুর্নীতি বিরোধী কমিটির কাছেও যাচ্ছে।’’ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ খোঁজ নিয়ে জেনেছে, অভিযুক্ত ছাত্র স্কুলে অনিয়মিত ছিল। পড়াশোনাও তেমন করতো না। সোমবার কেডিআই স্কুলের শিক্ষককে হেনস্থার খবর পেয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে রিপোর্টও তলব করেছিলেন।
আরও পড়ুন: টুকতে বাধা, মুখ ফাটল শিক্ষকের
ঘটনা হল, যে দিন কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানাল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ, ঠিক সে দিনই মঙ্গলকোটের এক স্কুলে টোকাটুকিতে বাধা দেওয়ায় স্কুলে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল। মঙ্গলকোটের আবুল কাশেম মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয়ে বুধবার দর্শনের পরীক্ষা ছিল। এখানে পরীক্ষা দিচ্ছিল কৃষ্ণবাটি উচ্চবিদ্যালয়, পালিশগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়, শিমুলিয়া উলাঙ্গিনী বালিকা বিদ্যালয়, মঙ্গলকোট হাইমাদ্রাসা ও নিগন দেশবন্ধু উচ্চবিদ্যালয়ের ২৭৬ জন। এ দিনই ছিল শেষ পরীক্ষা। দুপুর ১টা ১৫মিনিটে পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরই কিছু ছাত্র একতলার শৌচালয়ে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে বলে অভিযোগ। শিক্ষকরা ছুটে এসে বাধা দিলে তারা ক্লাসে ঢুকে পাখার ব্লেড বেঁকিয়ে দেয়। উল্টে ফেলা হয় বেঞ্চ। শিক্ষক বিধানচন্দ্র রায়, গোপাল তালুকদারদের দাবি, ‘‘শেষ পরীক্ষার দিন ফি বছর এ ভাবেই স্কুলের সম্পত্তি নষ্ট করে পরীক্ষার্থীরা।’’
এ দিনের বিষয়টি থানায় ও বিডিওকে টেলিফোনে জানান প্রধান শিক্ষক দেবব্রত অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘প্রতি বছরই কিছু না কিছু উপদ্রব হয়। তবে এ বারের মতো কখনও হয়নি।’’ বিডিও সায়ন দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন। এখনও এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ পাননি বলে দাবি করেছেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক খগেন্দ্রনাথ রায়।