কুলটি কলেজে কালো কাপড়ে মুখ বেঁধে বিক্ষোভে এক দল পড়ুয়া।
রাজ্যের মন্ত্রীর সামনে বিক্ষোভ দেখানোয় ছাত্র ও যুব সংগঠনের চার জনকে সাসপেন্ড করেছেন টিএমসিপি নেতৃত্ব। সেই দু’জনের উপর থেকে শাস্তি তুলে নেওয়ার দাবিতে সোমবার ফের অশান্তি বাধল কুলটি কলেজে। এক দল পড়ুয়ার বিক্ষোভ-স্লোগানে বিঘ্নিত হল পঠনপাঠন। বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা চলাকালীন ঘণ্টাখানেক ধরে এমন হট্টগোলে সমস্যা হয়েছে বলে জানান কলেজ কর্তৃপক্ষ। গোটা বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত তৃণমূলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসনও। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কলেজে ঠিকমতো ক্লাস না হওয়া ও পরিচালন সমিতির শিক্ষক প্রতিনিধি-সহ কয়েকজন শিক্ষকের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে শনিবার কুলটি কলেজ বিক্ষোভ দেখান টিএমসিপি এবং যুব তৃণমূলের কিছু নেতা-কর্মী। পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী আসানসোল উত্তরের বিধায়ক মলয় ঘটক কলেজে একটি বৈঠকে যোগ দিতে এলে তাঁর সামনেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। এর পরেই তৃণমূলের জেলা সভাপতি শিবদাসন কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ ঘোষাল-সহ টিএমসিপি এবং যুব তৃণমূলের মোট চার সদস্যকে সাসপেন্ড করেন।
তারই প্রতিবাদে সোমবার কুলটি কলেজে বিক্ষোভ দেখান এক দল পড়ুয়া। কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে তাঁরা কলেজ চত্বর দাপিয়ে বেড়ান। কলেজ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ক্লাসঘরের সামনে স্লোগান দিতে থাকায় দ্বিতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা ও পঠনপাঠন বিঘ্নিত হয়। বিক্ষোভকারীদের সে কথা জানানো হলেও তাঁরা কান দেননি।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তারক ঘোষ জানান, পড়ুয়া ও পরীক্ষার্থীদের এ ভাবে সমস্যায় ফেলে বিক্ষোভ দেখানো ঠিক নয়। এ দিনের ঘটনায় বিরক্ত অন্য শিক্ষকেরাও। তাঁদের দাবি, কিছু পড়ুয়ার এমন আচরণে কলেজে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। তারকবাবু বলেন, ‘‘এ সব বন্ধ না হলে আমরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হব।’’
পড়ুয়াদের এই বিক্ষোভ নিয়ে এ দিন কোনও মন্তব্য করতে চাননি মন্ত্রী তথা পরিচালন সমিতির সভাপতি মলয়বাবু। তবে তৃণমূলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন বলেন, ‘‘সব খবর রাখছি। অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।’’ কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিসি ক্যামেরা থেকে বিক্ষোভকারীদের ছবি সংগ্রহ করে প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা হয়েছে।